অমৃতসর এক্সপ্রেসে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অধরা দুই মূল অভিযুক্ত সেনা জওয়ান
অমৃতসর এক্সপ্রেসে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অধরা দুই মূল অভিযুক্ত সেনা জওয়ান। সেনাবগিতে করা ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে ওই দুজনকে চিহ্নিত করেছে জিআরপি। নির্যাতিতা কিশোরীকে ওই ভিডিও দেখানো হয়। জিআরপির দাবি, কিশোরী তাঁদের জানিয়েছে, ধৃত জওয়ান মঞ্জরীশ ত্রিপাঠি তাকে মাদক খাইয়েছিল। কামরার শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছিল বাকি দুই জওয়ান। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক। হাওড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আজ গোপন জবানবন্দি দেবে নির্যাতিতা। তার আগে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে।
ওয়েব ডেস্ক: অমৃতসর এক্সপ্রেসে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অধরা দুই মূল অভিযুক্ত সেনা জওয়ান। সেনাবগিতে করা ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে ওই দুজনকে চিহ্নিত করেছে জিআরপি। নির্যাতিতা কিশোরীকে ওই ভিডিও দেখানো হয়। জিআরপির দাবি, কিশোরী তাঁদের জানিয়েছে, ধৃত জওয়ান মঞ্জরীশ ত্রিপাঠি তাকে মাদক খাইয়েছিল। কামরার শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছিল বাকি দুই জওয়ান। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক। হাওড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আজ গোপন জবানবন্দি দেবে নির্যাতিতা। তার আগে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে।
বাড়ি থেকে পালিয়ে অমৃতসর মেলে সওয়ার হয়েছিল কিশোরী। গন্তব্য ছিল লুধিয়ানা। সেনাবগিতে ওঠাই কাল হল তার। জেরায় এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি মধুপুর জিআরপির। হোয়াটস অ্যাপে বার্তা পৌছে গিয়েছিল তাদের কাছে। সেইমতো প্রথমে পলাতক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। সন্দেহ হওয়ায় একই সঙ্গে আটক করা হয় কামরায় থাকা সেনা জওয়ান মঞ্জরীশ ত্রিপাঠিকে। মহিলা কনস্টেবলদের জেরায় কিশোরী জানায়, সেনা কামরায় জঘন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে। তারপরই অমরেশ ত্রিপাঠিকে গ্রেফতার করে জিআরপি। মধুপুরে কিশোরীর প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়।
অমৃতসর এক্সপ্রেসের সেনা কামরায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় সমালোচনার ঝড়। নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে রেল। প্রশ্ন উঠেছে রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়, তাহলে কোথায় মিলবে নিরাপত্তা? ধৃত সেনা জওয়ান মঞ্জরীস ত্রিপাঠি ইস্টার্ন কমান্ডের গাড়ির চালক। RT ব্যাটালিয়নের ওই সদস্যকে আজ আদালতে পেশ করা হবে। সকালেই হাওড়া জিআরপিতে পৌছে যান ইস্টার্ন কমান্ডের সেনা কর্তারা।
সেনাবগিতে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়। নতুন করে বিতর্কে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কীভাবে চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই অবাধে জঘন্য অপরাধ চালিয়ে যেতে পারেন একদল মানুষ। সেনাকর্মীদের এই নির্যাতনের সময়ে কোথায় ছিল রেল পুলিস? কাল সনাক্তকরণের পরও কেন অধরা বাকি দুই অভিযুক্ত? উঠছে প্রশ্ন। ধর্ষণের ঘটনায় তিন সেনাকর্মী অভিযুক্ত হওয়ায় বেড়েছে বিতর্কের মাত্রা। রক্ষকই যেখানে ভক্ষক সেখানে কী সাজা পাবে ধর্ষকরা? প্রশ্ন তুলেছেন সমাজের বিভিন্ন মহলের মানুষ।