Kuntal Ghosh Arrested By ED: কুন্তলের ডাইরিতে বিস্ফোরক তথ্য, শিক্ষক নিয়োগ-সহ বিভিন্ন খাতে নেন ৩০ কোটি টাকা!
ইডির আইনজীবী আদালতে বলেন, প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, নবম, দশম, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডির নিয়োগে যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পর বোঝা গিয়েছে। তদন্তে নামার পর মনে হচ্ছিল এই দুর্নীতি ভারত মহাসাগরের মতো বিশাল। পরে বোঝা যায় গোটা বিষয়টি প্রশান্ত মহাসাগরের মতো
রণয় তেওয়ারি ও অয়ণ ঘোষাল: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মোট ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য পান কুন্তল ঘোষ। তার হাত দিয়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কুন্তলের বাড়ি থেকে একটি ডাইরি উদ্ধার হয়েছে। সেই ডাইরি থেকে পাওয়া যাচ্ছে এমনই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কুন্তল ঘোষ। ব্যাঙ্কশাল আদালতে এমনটাই দাবি ইডির।
আরও পড়ুন-উত্তপ্ত ভাঙড়, নওশাদকে গ্রেফতার না করলে গোলমাল হবেই, হুঁশিয়ারি আরাবুলের
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তৃণমূলের যুব সভাপতি কুন্তল ঘোষের নাম পায় ইডি। গতকাল কুন্তলকে ম্য়ারাথন জেরার পর আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে ইডি জানিয়েছে কুন্তলের ফ্ল্যাট থেকে একটি ডাইরি উদ্ধার হয়েছে। সেই ডাইরি দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ইডির দাবি, কুন্তল ঘোষের মাথায় অনেক লোক রয়েছে যারা নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত। রয়েছেন কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাও।
অন্যদিকে, কুন্তল ঘোষের আইনজীবীর দাবি, তাপস মণ্ডল নামে একজনের নাম উঠে আসছে। তাকে কেন গ্রেফতার করা হল না। পাশাপাশি কুন্তল ঘোষের দাবি, তিনি চক্রান্তের শিকার।
টানা ২৩ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষকে। সূত্রের খবর, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে কুন্তলের কাছে যায়। এমনটাই অভিযোগ তাপস মণ্ডলের। কুন্তলের আয়ের সঙ্গে তার সম্পত্তির কোনও সামঞ্জস্য নেই। সেই টাকার উত্স জানাতে ব্যর্থ হন কুন্তল। পাশাপাশি তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল চিনার পার্কে কুন্তলের বাড়ি থেকে বহু মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড ও চাকরির ফর্ম পাওয়া গিয়েছে। ওইসব কাগজপত্র কীভাবে এল তার কোনও সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
শনিবার ইডির আইনজীবী আদালতে বলেন, প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, নবম, দশম, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডির নিয়োগে যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পর বোঝা গিয়েছে। তদন্তে নামার পর মনে হচ্ছিল এই দুর্নীতি ভারত মহাসাগরের মতো বিশাল। পরে বোঝা যায় গোটা বিষয়টি প্রশান্ত মহাসাগরের মতো। তাপস মণ্ডল বলেছিলেন ১৯ কোটি টাকার কিছু বেশি টাকা তিনি কুন্তল ঘোষকে দিয়েছিলেন। কিন্তু কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওয়া ডাইরিতে দেখা যাচ্ছে সবেমিলিয়ে কুন্তল নিয়েছে ৩০ কোটি টাকা। পরীক্ষায় কোয়ালিফাই করানো থেকে শুরু করে, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডিতে নিয়োগের সঙ্গে টাকা নেওয়া হয়েছিল।