ISF Meeting in Dharmatala: রণক্ষেত্র ধর্মতলা; আইএসএফের অবরোধে পুলিসের লাঠি, টেনে-হিঁচড়ে তোলা হল নওশাদকে
ডোরিনা ক্রেসিংয়ের একদিকে পুলিস। অন্যদিকে আইএসএফ সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধে। ইট, পাথর, জুতো, উল্টোদিকে কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধর্মতলা
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: ভাঙড়ের গোলমালের আঁচ ধর্মতলায়। ভাঙড়ে হাতিশালায় তৃণমূল কংগ্রেস অববোধ তুলে নেওয়ার পর ওই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্মতলায় অবরোধ শুরু করে আইএসএফ সমর্থকরা। আইএসএফের দাবি ছিল মূলত আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে হবে। এতে প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে মধ্য কলকাতা। সেই অবরোধ তুলতে নির্বিচার লাঠি চালাল পুলিস। ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল। পুলিসকে লক্ষ্য করে জুতো, ইট ছোড়ে আইএসএফ সমর্থকরা। আইএসএফ নেতা ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিস। সবমিলিয়ে রণক্ষেত্র ধর্মতলা।
আরও পড়ুন-বোঝো কাণ্ড, টস জিতে অধিনায়ক ভুলেই গেলেন কী করণীয়!
ডোরিনা ক্রেসিংয়ের একদিকে পুলিস। অন্যদিকে আইএসএফ সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধে। ইট, পাথর, জুতো, উল্টোদিকে কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধর্মতলা। পুলিসের লাঠিচার্জ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাতে থাকেন আইএসএফ সমর্থকরা। কয়েকজন আহত সমর্থকদের রাস্তায় পড়ে থাকতেও দেখা যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় ডোরিনা ক্রসিং। কয়েকজন পুলিসকর্মীও আহত হন। এদিন নওশায় সিদ্দিকি গাড়ির উপর থেকে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করে দেন, তারা অবরোধ কোনওভাবেই তুলবেন না। তারপর পুলিস তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অবরোধ তুলতে রাজি হননি তিনি। সেই কথা শোনার পরই লাঠিচার্জ শুরু করে দেয় পুলিস। পাল্টা আসরে নামে আইএসএফ সমর্থকরাও।
কিছুক্ষণের মধ্যে ডোরিনা ক্রসিং থেকে আইএসএফ সমর্থকদের সরিয়ে দেয় পুলিস। চারদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা উল্টেপড়া ডিভাইডার, জুতো, পোশাক, ইট, ব্যাগ ধংসস্তূপের চেহারা নেয় এলাকা। ধীরে ধীরে পড়ে থাকা ইট, জুতো ও অন্যান্য জিনিস সরিয়ে দেয় পুলিস। আইএসএফ সমর্থকরা সরে যেতেই ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ভাঙড়ের হাতিশালায় আইএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। কোথাও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। ভাঙড়ে ঢোকার দুটি রাস্তা। একটি ভোজেরহাট হয়ে। অন্যটি হাতিশালা মোড় হয়ে। যারা কলকাতা থেকে ভাঙড় যাবেন তাদের ওই দুটি দিক দিয়েই যেতে হবে। আজ যে গোলমাল হয়েছে তা কাইজার আহমেদ ও আরাবুলকে কাছে এনে দিয়েছে। আরাবুল বেশকিছুক্ষণ হাতিশালায় ছিলেন। অন্যদিকে, তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কাইজারও। তিনি বলেন, অতর্কিতে আমাদের দলের নেতা, সমর্থক, পার্টি অফিসে আক্রমণ হয়েছে। এখন আমরা আর বসে তাকার বান্দা নই। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই লড়াই কীভাবে করতে হয়।