Sheikh Hasina: হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামীই খালাস!
Sheikh Hasina: বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির সকল আসামিকে খালাস! তাঁরা বলেছেন, আমরা চাই না তাঁরা আর এক সেকেন্ডও কারাগারে...
![Sheikh Hasina: হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামীই খালাস! Sheikh Hasina: হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামীই খালাস!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2025/02/05/519379-bangladesh.png)
সেলিম রেজা: বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির ৯ আসামিসহ সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। আদালত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হল। তাঁরা বলেছেন, আমরা চাই না তাঁরা আর এক সেকেন্ডও কারাগারে থাকুক। এখনই সবাইকে মুক্তি প্রদানের নির্দেশ প্রদান করছি।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাঁকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ এবং অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান। ভাষার মাসের সম্মানে আদালত বাংলা ভাষায় রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলাম রায়ের মূল অংশটি পাঠ করেন। এদিকে, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির শতশত নেতাকর্মী এনেক্স কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে অবস্থান নেন। রায় শোনার পর তাঁরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: Bangladesh: খোঁজ মিলল তিন শতাধিক গোপন লকারের! নাম জড়াল বদলের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের...
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)