Bangladesh: খোঁজ মিলল তিন শতাধিক গোপন লকারের! নাম জড়াল বদলের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের...

Bangladesh: সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দাখিলকৃত কাগজপত্রসহ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশের আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। যে কারণেই বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন মনে করছে তল্লাশি অভিযান চালানো দরকার। 

Updated By: Feb 5, 2025, 01:28 PM IST
Bangladesh: খোঁজ মিলল তিন শতাধিক গোপন লকারের! নাম জড়াল বদলের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের...

সেলিম রেজা, ঢাকা: বদলের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার তিন শতাধিক গোপন লকারের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। যেখানে বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন ভিআইপি ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার রয়েছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের আদালত থেকে সাবেক ও বর্তমান ব্যাংক কর্মকর্তাদের গোপন লকার খোলার অনুমতিও পেয়েছে সংস্থাটি। চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খুলতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:  বদলের বাংলাদেশে লাফিয়ে বাড়ল রফতানি, ডলারে আয় কত ইউনূস সরকারের?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে, অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার নামীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খোলার অনুমতি পেতে আদালতে আবেদন করা হয়েছিলো। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দাখিলকৃত কাগজপত্রসহ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশের আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের অপর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জি ২৪ ঘন্টাকে বলেন, আসলে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন ডেপুটি গভর্নরের নাম আসছে। এরই মধ্যে সাবেক গভর্নর এসকে সুর চৌধুরির গোপন লকার খুলে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। ওই অভিযানকালে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের চোখে তিন শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের নামে লকারের তথ্য মিলেছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত ব্যক্তিদের নাম মিলেছিলো। যে কারণেই বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন মনে করছে তল্লাশি অভিযান চালানো দরকার। আমাদের ধারণা যথাযথ তল্লাশি করা গেলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে নাই।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশের আদালত সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইনভেন্টরি করার জন্য ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এমন অনুমতি দেন। কমিশনের অনুমতি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে বলেন, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রক্ষিত লকারে তল্লাশিকালে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। ওই তল্লাশিকালে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাদের নামে লকার রয়েছে। অনুসন্ধানকালে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম মনে করেছে, ওই সব লকারের তল্লাশি করা প্রয়োজন। সেজন্যই অনুসন্ধান টিমের পক্ষ থেকে লকার তল্লাশি করার অনুমতি চেয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.