Saktigarh Langcha Hub: মহাকুম্ভের পুণ্যার্থীর পুণ্যস্রোতের টানে জোয়ার ল্যাংচা-ভূমিতেও! ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শক্তিগড়...
Saktigarh Langcha Hub: জাতীয় সড়কে ভ্রমণার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কেননা, অনেকেই কুম্ভমেলায় যাচ্ছেন। কেউ যাচ্ছেন বেনারসে, কেউ রামমন্দিরে। সকলেই যাওয়ার পথে একবার থামছেন ল্যাংচার দোকানগুলিতে। তাই এ সময়ে ল্যাংচার বিক্রি বহুগুণ বেড়েছে।

পার্থ চৌধুরী: কুম্ভমেলায় যাওয়ার একটা ক্রেজ শুরু হয়েছে অনেকদিনই হল। ফলে ভিড় বেড়েছে জাতীয় সড়কে। আর এর জেরে সাময়িক মন্দার ধাক্কা সামলে অনেকটাই ঘুরে দাড়িয়েছে শক্তিগড়ের বিখ্যাত ল্যাংচা বাজার, যা ইদানীং কালে একটু ধুঁকছিল।
কলকাতা থেকে যাওয়ার পথে আমড়া গ্রাম-এলাকায় রাস্তার দু'ধারে অসংখ্য ল্যাংচার দোকান রয়েছে। এক সময়কার শক্তিগড়ের ল্যাংচার রমরমা ব্যবসার প্রায় পুরোটাই এখানে উঠে এসেছে দুদশক আগে। যাতায়াতের পথে এখানে ল্যাংচা খেতে আসেন অনেকেই। বাড়ির জন্যও নিয়ে যান।
এরকমই এক দোকানের দোকানদার প্রভাত ঝা জানান, ইদানীং জাতীয় সড়কে ভ্রমণার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই কুম্ভমেলায় যাচ্ছেন। কেউ কেউ বেনারস, রামমন্দিরেও যাচ্ছেন। তাই এই সময়ে ল্যাংচার বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কারণে গাড়ি এখানে কম দাঁড়াত। ফলে ব্যবসা মার খেত। আর এক দোকানদার রণজিৎ দাস জানান, এই ল্যাংচা বাজারে ল্যাংচার দোকান-সহ অন্যান্য খাবারের দোকানের উপর নিভর করে কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা চলে। ফুটপাথে ব্যবসা করেন আরো অনেক মানুষ। জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলে ব্যবসা ভালই চলে। তবে সুখবর, এখন রাস্তা অনেকটাই তৈরি হয়ে এসেছে। তাই গাড়িওয়ালাদের ভিড় আবার দেখা যাচ্ছে। তাই আবারও ঘুরে দাড়াচ্ছে শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাব। যত ভ্রমণার্থী বাড়ছে, ততই নতুন করে বাড়ছে ল্যাংচার বাজার।
এই ল্যাংচা-হাবের একাংশের দোকানের মিষ্টির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বেশ কয়েকমাস আগেই। এতই খারাপ ছিল সেসব মিষ্টির মান যে, গত ২১ জুলাইয়ের আগে কয়েকশো কুইন্টাল ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করে মাটিতে মিশিয়ে দেয় প্রশাসন। তবে দোকানদারেরা জানান, বেশিরভাগ দোকানদার গুণমাণ মেনেই চলেন। তাঁদের কেউই এরকম করেননি। তবে এ কথাও ঠিক, বিপুল চাহিদার সময়ে ক্রেতার ভিড় সামলানোর জন্য কিছুটা শুকনো ল্যাংচা কিছু ভেজে রাখতেই হয়।
জানা গিয়েছে, গোরুর দুধের ছানা, চিনি, ময়দা,কিছু পরিমাণে সুগন্ধি চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হয়ে এই ল্যাংচা। বাকিটা পাকের ব্যাপার, যা কারিগরের হাতযশ। সুন্দর প্যাকিংয়ের জন্য মিষ্টি নিয়ে যেতে সুবিধাও হয় ক্রেতাদের। আর সেই টানেই জাতীয় সড়কের পছন্দমতো দোকানে দাঁড়িয়ে পড়েন সকলে। জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের পরে আবার ধীরে ধীরে সেই ছবিটাই দেখা যাচ্ছে। ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসছে শক্তিগড়ের বিখ্যাত ল্যাংচা বাজার।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)