কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যেই মমতা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, দাবি নরেন্দ্র মোদীর
বাম জমানায় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে তৃণমূলনেত্রীকেই সবচেয়ে সরব হতে দেখা যেত বলে এদিন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

নিজস্ব প্রতিবেদন: এবারের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার সেই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হলেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানার কথা। সেই সময় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে তৃণমূলনেত্রীকেই সবচেয়ে সরব হতে দেখা যেত বলে এদিন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করে শেষদিনের প্রচারে বেনজির আক্রমণ মোদীর
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে দুটি জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথম জনসভাটি করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে। তারপর সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে সভা করেন। দমদমের সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। বাংলায় গুন্ডারাজ চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ করেন। অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও একবার তিনি নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রসঙ্গ তোলেন। বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় ফেরার পর নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করবে বলে প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ফুটেজ লোপাটের চেষ্টা তৃণমূলের, অভিযোগ মোদীর
লোকসভা নির্বাচন যেহেতু দেশের সরকার গড়ার জন্য, তাই উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করা উচিত বলেও তিনি দাবি করেছেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ নিমূর্লকরণে বিজেপি সফল বলেও তিনি দাবি করেছেন দমদমের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে।
আগামী দিনে নতুন ভারত গড়তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখানো পথেই হাঁটবেন বলে জানান। রবিঠাকুরের চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির লেখা এই লাইনটির হিন্দি তর্জমাও শোনা গিয়েছে এদিন মোদীর মুখে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আজ রাত থেকে ৩ দিন বন্ধ থাকবে মদের দোকান
এদিন মথুরাপুরের সভা থেকেও তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা শোনা গিয়েছে। হতাশা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুমকি দিচ্ছেন বলেও মোদী এদিন দাবি করেন। তাছাড়া দলের কর্মীদের জন্য স্লোগানও তৈরি করে দেন। আর সেই স্লোগান হল, চুপচাপ পদ্মে ছাপ, বুথে বুথে তৃণমূল সাফ।
এই স্লোগান দেওয়ার আগে এর কী অর্থ, তাও ব্যাখ্যাও করেন মোদী। তাঁর কথায়, ইভিএমে পদ্মপ্রতীকে দেওয়া প্রতিটা ভোট মোদীই পাবেন। আর দেশের উন্নতির জন্য এটাই খুবই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ইভিএম বদলানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ধরতে পারলে জীবন গড়ে দেওয়ার আশ্বাস মমতার
প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গের জনতাই বিজেপিকে ৩০০-র বেশি আসন জিততে সাহায্য করবে। তৃণমূল কংগ্রেসকে গণতন্ত্রের অর্থও বাংলার জনতা ভোটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবে।