Cow Smuggling: বোলপুর পুরসভাতেই অনুব্রত ও সুকন্যার নামে রয়েছে কয়েকশো কাঠা জমি, দাম শুনলে অবাক হবেন
Cow Smuggling কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের আয়কর রিটার্নে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। সিবিআই সূত্রে খবর, ৮ বছরে সুকন্যার আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ!

প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে বিপুল সম্পত্তির হদিস পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বিপুল পরিমাণ জমি, একাধিক রাইস মিল রয়েছে সুকন্যার নামে। জানা যাচ্ছে বোলপুর পুরসভাতেই অনুব্রত মণ্ডলের নামে রয়েছে ২৪০ কাঠা জমি। অন্যদিকে, তাঁর মেয়ে সুকন্য মণ্ডলের নামে রয়েছে ১২০ কাঠা জমি। সবেমিলিয়ে বোলপুর পুরসভা এলাকাতেই বাবা ও মেয়ের নামে রয়েছে ৩৬০ কাঠা জমি। ওইসব জমির আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এমনই নথি প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন-৮ বছরে আয় বৃদ্ধি ১৭৫ গুণ! প্রাথমিক শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার আয়কর রিটার্নের হিসেব চাঞ্চল্যকর
বোলপুর পুরসভা এলাকায় আনুমানিক প্রত্যেক কাঠা জমির দাম অন্তত ৭ লক্ষ টাকা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ২৪০ কাটা ও তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের ১২০ কাঠা জমির আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা।। আর এই বিপুল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি এখন নজরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। আজ আদালতে পেস করার সময় ইডি এই নথিও সামনে আনতে পারে। মনে করা হচ্ছে তাহলে কি গরু পাচারের টাকার কোটি কোটি টাকা এভাবেই জমিতে ইনভেস্ট করা হয়েছিল? স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে এই বেশিরভাগ জমি কার্যত ফাঁকা জমি হিসেবে পড়ে আছে। যা থেকে কার্যতো স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে যে এই জমিগুলিকে শুধুমাত্র ইনভেস্ট করার কাজে লাগানো হয়েছে।
উল্লেখ্য সুকন্যা মন্ডলের এই ১২০ কাঠা জমির বাইরেও শিব শম্ভু রাইস মিলে রয়েছে তার জমি। এই রাইস মিলের নামেও বেশ কিছুটা সম্পত্তি রয়েছে। এক সাধারন মাছ ব্যবসায়ী থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠা এবং তার সামান্য শিক্ষিকা মেয়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দেখে চক্ষু চরক গাছ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এনিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।
তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা প্রথম থেকেই মনে করছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও তার স্ত্রী ছবি মন্ডল এই তিনজনের নামে যা সম্পত্তি রয়েছে তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তারা তাদের বিভিন্ন আত্মীয়র নামে ইনভেস্ট করে রেখেছেন। সেখানে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন উঠছে যদি অনুব্রত মণ্ডল ও তার কন্যারই শুধুমাত্র বোলপুর শহরে ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে থাকে তাহলে তাদের আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে কত কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট রয়েছে। এই সকল জমি কেনা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ এর সালের মধ্যে।। এমনকি ২০১৪ সালে একই দিনে ৭ টি জমি রেজিস্ট্রি হতে দেখা যাচ্ছে অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মন্ডলের নামে।