UP: স্বজাতির হাতে 'খুন' দাদা, সেই 'ভয়াবহ' রাতের ঘটনা জানালেন নিহত সংখ্যালঘু যুবকের ভাই
কীভাবে মারধর করা হয় যুবককে?

নিজস্ব প্রতিবেদন: সংখ্যালঘু হয়েও তাঁর দাদা ছিলেন একনিষ্ঠ বিজেপি (BJP) সমর্থক। যোগীর ভক্ত। সেটাই নাকি তাঁর অপরাধ ছিল। অভিযোগ, সেজন্য নিজেদের জাতির লোকেরাই খুন করেছে তাঁর দাদাকে। সেই ভয়ঙ্কর রাতের কথা আজও ভুলতে পারছেন না উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে নিহত সংখ্যালঘু যুবক বাবরের ভাই চাঁদ আলম।
বাবরের পরিবার সূত্রে খবর, নিহত যুবক বিজেপির (BJP) হয়ে প্রচার করতেন বলে প্রতিবেশীরা বিরক্ত হতেন। ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন বাবর। এর ফলে প্রতিবেশীদের একাংশের হুমকির মুখেও পড়েন বাবর। এরপর আসে ২০ মার্চের সেই ভয়ঙ্কর রাত।
জানা গিয়েছে, ২০ মার্চ নিজের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই যুবক। 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে দিতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখন হঠাৎ একদল স্থানীয় দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়। প্রাণ বাঁচাতে একটা ছাদে লাফিয়ে উঠে পড়েন ওই যুবক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্তরাও ওই ছাদে উঠে পড়ে। এরপর সেখান থেকে পড়ে যান যুবক।
নিহত সংখ্যালঘু যুবক বাবরের ভাই চাঁদ আলম অভিযোগ করেছেন, প্রথমে তার দাদাকে টেনে-হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। এরপর প্রাণ বাঁচাতে তিনি পালিয়ে ছাদে চলে গেলে, সেখান থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়।
সঙ্গে সঙ্গে বাবরকে রামখোলা সিএইচসি-তে ভর্তি করা হয়। এরপর প্রথমে জেলা হাসপাতাল এবং লখনউতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন যুবকের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্য়ে ঘটনায় শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Fuel Price Hike: ৮ দিনে সাতবার, ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম