ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন সদস্য যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য
ভারতীয় নৌবাহিনীর মুকুটে নতুন পালক। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হল রাশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রণতরীটি পেতে দুদেশের মধ্যে ১৯৯৮তে মউ সাক্ষরিত হয়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর মুকুটে নতুন পালক। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হল রাশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রণতরীটি পেতে দুদেশের মধ্যে ১৯৯৮তে মউ সাক্ষরিত হয়।
২০০৮ সালে যুদ্ধজাহাজটি পাবার কথা থাকলেও বারবার পিছিয়ে যায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া। অবশেষে বেশকিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের পর আইএনএস বিক্রমাদিত্যকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রাশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি এই রণতরীটি শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হল ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে। রাশিয়ার শেভম্যাস শিপইয়ার্ডে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের স্বাক্ষী ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি, রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রগোজিন।
ছিলেন দুদেশের নৌবাহিনী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। রণতরীটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার। চুয়াল্লিশ হাজার পাঁচশো টনের এই যুদ্ধজাহাজটি ২৮৪ মিটার লম্বা। মিগ টোয়েন্টি নাইনকে, এএলএইচ ধ্রুব, চেতক হেলিকপ্টার, কেমভ থার্টি ওয়ান এবং কেমভ টোয়েন্টি এইটসহ মোট তিরিশটি যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম এই যুদ্ধজাহাজ। আইএনএস বিক্রমাদিত্যর অন্তর্ভুক্তিতে অনেক সমৃদ্ধ হল ভারতীয় নৌবাহিনী। এমনই মত অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কে রাজা মেনন।
মিগের মত যুদ্ধবিমান আইএনএস বিক্রমাদিত্যে ওঠা নামা শুরু করলে নৌসেনার পরিধি আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন নৌবাহিনী বিশেষজ্ঞরাও।
নৌবাহিনীতে আইএনএস বিক্রমাদিত্যর অন্তর্ভু্ক্তিতে খুশি রাজনৈতিকমহলও।
যুদ্ধজাহাজটিতে ২২টি ডেক রয়েছে। দেড় হাজারেরও বেশি সেনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে রণতরীটিতে। ২০০৪ সালে ভারতে আসার ছাড়পত্র মেলে আইএনএস বিক্রমাদিত্যর। কিন্তু প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের জন্য বারবার পিছিয়ে যায় হস্তান্তর প্রতিক্রিয়া। এই দেরির জন্য অতিরিক্ত বারো হাজার কোটি টাকা লেগেছে যুদ্ধজাহাজটি পেতে। অন্যদিকে বোয়িং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভারত পেতে চলেছে দ্বিতীয় পিএইটআই মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্র্যাফট। আকাশপথে টহল এবং সাবমেরিন ধ্বংস করতে এই যুদ্ধবিমানের জুড়ি নেই বলেই দাবি সামরিক বিশেষজ্ঞদের।