এবার ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকা ব্যক্তিদের হাতে স্ট্যাম্প মেরে দেবে মহারাষ্ট্র সরকার
দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩। কেরলের পর মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে
![এবার ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকা ব্যক্তিদের হাতে স্ট্যাম্প মেরে দেবে মহারাষ্ট্র সরকার এবার ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকা ব্যক্তিদের হাতে স্ট্যাম্প মেরে দেবে মহারাষ্ট্র সরকার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/03/17/239727-maharashtra.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা সন্দেহভাজনদের বাঁ হাতে সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাবার স্ট্যাম্প। তাতে লেখা, মহারাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করার জন্য গর্বিত। হোম কোয়ারেন্টাইন। সঙ্গে তারিখ, ৩০ মার্চ ২০২০। এ হেন স্ট্যাম্প মেরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে খোদ মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ব্যক্তিদের ‘গৃহবন্দি’ রাখতেই এ ধরনের পদক্ষেপ বলে সূত্রের খবর।
দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩। কেরলের পর মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তারপরই সিদ্ধান্ত হয়, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের রাবার স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হবে। করোনা আক্রান্ত বা সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলা জানানো হয়। সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৭ ব্যক্তির পালিয়ে যাওয়ার খবর আসতেই এমন নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভায় মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি
১৪ দিন থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। স্ট্যাম্পের কালিও ১৪ দিন পর্যন্তই থাকবে বলে দাবি উদ্ধবের সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে কেউ অপরাধী হয়ে যান না। তাঁকে উপযুক্ত চিকিত্সা এবং মানসিক সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন। জনগণের স্বার্থেই রাজ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে মহামারি আইন। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্যে ব্রিটিশ আমলের এই আইন বলবত্ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিধানসভা। বাজেট অধিবেশন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।