#FarmLaws: জানুন ভারতে আইন বাতিলের গোটা প্রক্রিয়া
৩ কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর। এরপর...
নিজস্ব প্রতিবেদন: গুরুনানকের জন্মদিনে (Guru Nanak Jayanti) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিলের ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও আন্দোলন না থামানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত (Rakesh Tikait)। তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা, "আন্দোলন এখনই থামবে না। সংসদে কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিয়ে কথা বলে তারও আশু সমাধান প্রয়োজন।" ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সামনের অধিবেশনেই তিন আইন বাতিল করা হবে। সেজন্য সংবিধানিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেনে নেওয়া যাক ভারতে আইন বাতিলের প্রক্রিয়া কী?
সংবিধানের ২৪৫ ধারায় সংসদের আইন বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে। ভারতে কোনও আইন বাতিল করতে গেলে, প্রথমে বিলটি সংসদে পেশ করতে হয়। এরপর তার উপর আলোচনা হয়। ভোটাভুটি হয়। তারপর আইন মন্ত্রকে (The Law Ministry) সংশোধনের প্রস্তাব পাঠাতে হয়। মন্ত্রক আইনি দিকটি বিচার করে এবং এরপর সেই বিলটি ফের সংসদে পেশ করা হয়। বিলটি পেশ করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী, আইনমন্ত্রী নন। বিলটি নিয়ে সংসদের উভয়কক্ষে আলোচনা হয়। ফের ভোটাভুটি হয়। ভোটে সংসদের উভয়কক্ষে বিলটি পাশ হলে, সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে বিলটি বাতিল হয়।
তবে তিন কৃষি আইনের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার কারণে আইনিটি কার্যকর হয়নি। এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তাও জড়িত নয়। তাই ফের সংশোধনের জন্য বিলটি আইনমন্ত্রকে নাও পাঠানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে লোকসভায় ভোটাভুটিতে বিলটি বাতিল হলে, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হতে পারে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পেলেই সেটি বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: Farm laws repealed: কৃষি আইন প্রত্যাহার মোদীর, এক নজরে এক বছরের কৃষক লড়াই