BJP: পিছিয়ে গেল বিজেপির নবান্ন অভিযান; 'কোনওভাবে মুখরক্ষার চেষ্টা', কটাক্ষ কুণালের
কলকাতা ও হাওড়া থেকে নবান্নের দিকে মিছিল। দেড় লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে, দাবি গেরুয়াশিবিরের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। পিছিয়ে গেল বিজেপির নবান্ন অভিযান। ৭ সেপ্টেম্বর নয়, ১৩ সেপ্টেম্বর হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে নবান্নে যাবেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। গেরুয়াশিবিরে দাবি, মিছিলে অংশ নেবেন দেড় লক্ষ মানুষ।
রাজ্যে দুর্নীতি ইস্যুতে এখন ব্যাকফুটে তৃণমূল। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। গোরুপাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। শাসকদলের বিরুদ্ধে এবাক কোমর বেঁধে মাঠে নামতে চলেছে বিরোধীরা। ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। দলের কর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছিল, 'মার খাওয়ার দিন চলে গিয়েছে। লড়াই করতে হবে। পার্টি আপনাদের হয়ে মামলা করবে'।
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharjee in Writers' Building: এগারো বছর পর মহাকরণে ফের হাজির বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য!
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, '১৫ অগস্ট দেশের স্বাধীনতা দিবস। বৃহস্পতিবার ছিল গোরুদের স্বাধীনতা দিবস। ট্রামে বাসে শুধু চোর...চোর...বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। বেরোলেই লোক চোর বলছে। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শুঁটিয়ে লালের কথা ভুলে, সামনে- পিছন লাল করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পার্থর সময় দিদিমণি বললেন, আমার কোনও যোগাযোগ নেই। উনি ইউজ অ্যান্ড থ্রোতেই বিশ্বাস করেন...জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গম স্পেশ্যালিস্ট'।
এদিকে বিজেপি নবান্ন অভিযান পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, 'নবান্ন অভিযান ডেকে পালিয়ে গিয়েছে। লোক হয়নি, সেটা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। বিজেপির মুখ পড়েছে। মুখরক্ষার জন্য এখন কোনওভাবে একটি তারিখ ঘোষণা করে মুখরক্ষা চেষ্টা করবে'। কুণালের বক্তব্য, 'ওদের মতো অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী চার আনার নেতাদের জন্য বরাদ্দ। তাঁদের উর্দি খুলিয়ে সাধারণ পোশাক পরিয়ে লোক দেখানোর চেষ্টা করবে'।
আরও পড়ুন: DA for Bengal Govt: সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও মেলেনি ডিএ, আদালত অবমাননার মামলা হল হাইকোর্টে
এদিকে অনুব্রতের গ্রেফতার পর সিবিআইয়ের নজরে বোলপুরের আরও একটি রাইস মিল। এদিন শিব শম্ভু রাইস মিলে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, খাতায়-কলমে এই রাইস মিলের মালিক শিবানী ঘোষ নামে এক মহিলা। কেন তিনি? অনুব্রত মণ্ডলের দিদি। ২০১০-১২ সাল নাগাদ এই রাইস মিলটিকে লিজ নেওয়া হয়। কীভাবে রকেটের গতিতে অনুব্রতের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেল? খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে পর থেকে অনুব্রত ও তার পরিবারের সম্পত্তির বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। স্রেফ রাইস মিল নয়, জমি-বাড়ি-স্টোন ক্রাশার-সহ একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।