বন্ধ সফল না ব্যর্থ?গুলিয়ে ফেললেন মমতা
বন্ধের ইস্যু সমর্থন যোগ্য। বৃহস্পতিবার মহাকরণে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একদিকে সারা দেশে বিজেপির ডাকা বন্ধে যোগদান করার জন্য দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে রাজ্যে একই বিষয়ে বামেদের ডাকা ধর্মঘটে `অংশগ্রহন না` করার জন্য রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি!
বন্ধের ইস্যু সমর্থন যোগ্য। বৃহস্পতিবার মহাকরণে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একদিকে সারা দেশে বিজেপির ডাকা বন্ধে যোগদান করার জন্য দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে রাজ্যে একই বিষয়ে বামেদের ডাকা ধর্মঘটে `অংশগ্রহন না` করার জন্য রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি! যদিও ইস্যু সমর্থন করলেও তাঁর সরকার বন্ধকে সমর্থন করে না বলেও এদিন সাফ জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। `` ইচ্ছা করলে ফোর্সফুলি বন্ধ তুলে দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা গনতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তাই জোর করে কিছু করতে চাইনি"- সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন তৃণমূল নেত্রী।
মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁর কাছে আসা খবর অনুযায়ী বিকেল ৩টে পর্যন্ত সরকারি দফতর গুলিতে উপস্থিতির হার ছিল ৮৮ থেকে ৮৯ শতাংশ। যা অনান্য স্বাভাবিক দিনের থেকেও নাকি বেশি! রাজ্যে কর্ম সংস্কৃতির যে `জোয়ার` এসেছে তা কোনভাবেই নষ্ট হতে দেবেন না বলেও জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। পরিবহন ব্যবস্থাকে `এমার্জেন্সী সার্ভিস` বলে উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন বন্ধের দিনে আর ইচ্ছামতো যানবাহন বন্ধ করে রাখা চলবে না। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার শীঘ্রই কঠোর আইন আনতে চলেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। যখন তখন যানবাহন বন্ধ করে রাখলে লাইসেন্স বাতিল পর্যন্ত করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এইদিনও `তোপ বর্ষণ` জারি রাখলেন মমতা। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন কোন ভাবেই এফডিআই এ দেশে আসতে দেবেন না। রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি তুলে নেওয়া আর ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আবারও চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।