Medical Student Died in TB: ডাক্তারি পড়ুয়ার প্রাণ কেড়েছে টিবি; রাজ্যে বাড়ছে মৃত্যু, জেলাগুলিকে সতর্ক করল স্বাস্থ্যভবন
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এ বছর অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার টিবি আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে হবে। এমনই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই জায়গায় অক্টোবর পর্যন্ত সেই লক্ষ্যমাত্রার ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে রাজ্য সরকার

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: রাজ্যে নীরবে বাড়ছে টিবি আক্রান্তের সংখ্যা। তার থেকেও বড় বিষয় হল রোগী চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি এক ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে টিবিতে আক্রান্ত হয়ে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে অক্টোবর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৭০৩ টিবি আক্রান্তের। স্বাস্থ্যভবনের গুরুতর অভিযোগ হল বেসরকারি হাসপাতালগুলি টিবি রোগীর পরিসংখ্যান ঠিকমতো দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন- কুয়াশার কারণে বাতিল বহু ট্রেন, চরম বিপাকে দূরপাল্লার যাত্রীরা
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এ বছর অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার টিবি আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে হবে। এমনই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই জায়গায় অক্টোবর পর্যন্ত সেই লক্ষ্যমাত্রার ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি হাসপাতালগুলির অবস্থা আরও খারাপ। দেখা যাচ্ছে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১৯,২৫৯ জন টিবি রোগীর কথা স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এটি তাদের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার (২৮,৩৪০) মাত্র ৬৮%। এই পরিস্থিতিতে নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাস জুড়ে হাসপাতালগুলি ভিজিট করে টিবি আক্রান্তদের তথ্য পরিসংখ্যান যাতে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে পৌঁছয় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হল এই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এনিয়ে সব জেলাকে মিশন মোডে কাজ করতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসেই টিবি ধরা পড়েছিল ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার। শেষপর্য়ন্ত শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মারা যান তিনি। অনুমান করা হচ্ছে, হাসপাতালে বহু রোগীর হাঁচি কাশি থেকে সংক্রমিত হয়ে পড়েছিলেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়া। করোনার প্রকোপ কমে য়াওয়ার পর মাস্ক পরা ছেড়ে দেতেই বিপদ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।