সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে শিক্ষকদের বদলির নিয়ম চালু করার পরিকল্পনা সরকারের
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজেও এ বার শিক্ষকদের বদলির নিয়ম চালু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে পৃথক কমিশন গঠনের কথাও ভাবা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ওয়েব ডেস্ক: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজেও এ বার শিক্ষকদের বদলির নিয়ম চালু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে পৃথক কমিশন গঠনের কথাও ভাবা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সরকারি কলেজে শিক্ষকদের বদলির নিয়ম রয়েছে। কিন্তু, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে এই নিয়ম না থাকায় বদলি হতে চাইলে শিক্ষকদের নতুন করে পরীক্ষায় বসা ছাড়া গতি নেই। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে সমস্যার কারণ দেখিয়ে বদলির আবেদন করেন। নিয়ম না থাকায় তাঁদের সাহায্য করতে পারা যায় না। সকলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এখন সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিউচুয়াল ট্রান্সফারের সুযোগ পান। নতুন নিয়মে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজেও মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালু হবে নাকি সরকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির নির্দেশ দেবে তা স্পষ্ট নয়। শিক্ষামহলের মতে সরকার বদলির নির্দেশ দিলে কলেজ পরিচালন সমিতির অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠবে। যদিও, শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
এখন হাইস্কুলে এসএসসি-র মাধ্যমে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হয়। প্রাইমারি স্কুলে পরিচালন সমিতি স্কুলভিত্তিক নিয়োগ করে। এ ক্ষেত্রে বারবার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এদিন বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে স্কুলে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য কমিশন গঠনের কথা ভাবছে সরকার।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক। তিন স্তরেই সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলে পৃথক কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই স্কুলে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে পৃথক কমিশন গঠন করা নিয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।