এইমস নিয়ে কংগ্রেসকে বিড়ম্বনায় ফেলতে নতুন রাস্তা তৃণমূলের
এইমস গড়ে তোলা নিয়ে কংগ্রেসকে দ্বিমুখী আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। রায়গঞ্জের পরিবর্তে তারা যে কল্যাণীতে এইমস গড়ে তুলতে চায়, একথা আগেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার উত্তর দিনাজপুরেই হাসপাতালের জন্য নতুন সরকারি জমির সন্ধান মিলেছে বলে দাবি করল জেলা তৃণমূল। তাদের এই দাবির পিছনে চক্রান্ত দেখছে কংগ্রেস।
এইমস গড়ে তোলা নিয়ে কংগ্রেসকে দ্বিমুখী আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। রায়গঞ্জের পরিবর্তে তারা যে কল্যাণীতে এইমস গড়ে তুলতে চায়, একথা আগেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার উত্তর দিনাজপুরেই হাসপাতালের জন্য নতুন সরকারি জমির সন্ধান মিলেছে বলে দাবি করল জেলা তৃণমূল। তাদের এই দাবির পিছনে চক্রান্ত দেখছে কংগ্রেস।
এইমস ইস্যুতে কংগ্রেসকে বিড়ম্বনায় ফেলতে নতুন রাস্তা নিল তৃণমূল। এতদিন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী রায়গঞ্জের বদলে কল্যাণীতে এইমস গড়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করেছেন। এইমসের জন্য কল্যাণীই যে তাঁদের প্রথম পছন্দ, তা আরও একবার জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। এর বিরোধিতায় লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছে কংগ্রেস। এসবের মধ্যেই নতুন রণকৌশল নিয়েছে তৃণমূল। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের দাবি, উদয়পুরে প্রায় পঁচাশি একর সরকারি জমির সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। সেখানেই এইমস গড়ে তোলা যেতে পারে বলে দাবি তাঁদের।
শুরু থেকে কল্যাণীতে এইমসের জন্য গলা ফাটিয়ে আসার পর হঠাত্ করে কেন উত্তর দিনাজপুরে এইমসের পক্ষে সওয়াল করছে তৃণমূল? কংগ্রেস শিবির মনে করছে এর পিছনে দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমটি হল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ জানিয়ে দিয়েছেন এইমস রায়গঞ্জেই হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবে ফলে গেলে, পুরো কৃতিত্বটাই যাবে কংগ্রেসের ঝুলিতে। আবার রাজ্য সরকারের মর্জি মতো এইমস যদি কল্যাণীতেই হয়, তাহলে উত্তর দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিরাট সংখ্যক মানুষ বিষয়টি ভালভাবে নেবেন না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে চাইছে তৃণমূল। এমনটাই মনে করছে কংগ্রেস শিবির।
উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জে এইমসের বিরোধী নন। তিনি শুধু চান, সব কৃষক স্বেচ্ছায় জমি দিক। তৃণমূলের অভিযোগ, কৃষকরা হাসপাতালের জন্য স্বেচ্ছায় জমি দিতে চাইছে বলে দাবি করছে কংগ্রেস। অথচ দলের তরফে এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল বিধায়কের এই দাবির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের একমাত্র অনিচ্ছুক বলে কটাক্ষ করেছেন দীপা দাশমুন্সি। সব মিলিয়ে এইমস ইস্যুতে যুযুধান কংগ্রেস এবং তৃণমূল। সময়ের সঙ্গে দুপক্ষই যে আক্রমণের তীব্রতা বাড়াবে তাতে সন্দেহ নেই। কার তরোয়ালে ধার বেশি, সেটা সময়ই বলবে।