সারদার সালতামামি
সুদীপ্ত সেনের গ্রেফতারের পর দু বছর পার হয়ে গিয়েছে। প্রায় এক বছর সারদা তদন্ত হাতে নিয়েছে সিবিআই। এবার জাল গোটানো শেষ। পনের দিনের মধ্যেই সারদা তদন্তে চার্জশিট দিতে চলেছে সিবিআই। একবার ফিরে দেখে নেব সারদা মামলার সালতামামি। কলকাতার একাধিক জায়গায় আমানতকারী-এজেন্টদের বিক্ষোভের জেরেই সামনে আসে সারদা কেলেঙ্কারি। ততক্ষণে কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছেন সুদীপ্ত সেন।
![সারদার সালতামামি সারদার সালতামামি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/05/20/38194-saradha.jpg)
ব্যুরো: সুদীপ্ত সেনের গ্রেফতারের পর দু বছর পার হয়ে গিয়েছে। প্রায় এক বছর সারদা তদন্ত হাতে নিয়েছে সিবিআই। এবার জাল গোটানো শেষ। পনের দিনের মধ্যেই সারদা তদন্তে চার্জশিট দিতে চলেছে সিবিআই। একবার ফিরে দেখে নেব সারদা মামলার সালতামামি। কলকাতার একাধিক জায়গায় আমানতকারী-এজেন্টদের বিক্ষোভের জেরেই সামনে আসে সারদা কেলেঙ্কারি। ততক্ষণে কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছেন সুদীপ্ত সেন।
১৬ এপ্রিল, ২০১৩
সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে বিধাননগর কমিশনারেটের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অর্পিতা ঘোষ।
সারদাকাণ্ডে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেট।
২৩ এপ্রিল, ২০১৩
কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার হন সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও অরবিন্দ সিং চহ্বান।
অক্টোবর, ২০১৩
গ্রেফতার হন সারদার ভাইস প্রেসিডেন্ট সোমনাথ দত্ত।
২৩ নভেম্বর, ২০১৩
টানা কয়েকদিন বিধাননগর কমিশনারেটে ডেকে জিজ্ঞাবাসাদ করা হয় সারদার অন্যতম কর্ণধার তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিটা প্রথম থেকেই তুলছিলেন বিরোধীরা। এই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
৯ মে, ২০১৪
সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সারদাকাণ্ডে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজে বার করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এই কাণ্ডে প্রভাবশালীদের ভূমিকাও খুঁজে বার করার নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআইকে।
৪ জুন, ২০১৪
সারদাকাণ্ডে তিনটি মামলা দায়ের করে সিবিআই। ও পরে আরও একটি মামলা করে সিবিআই।
১৬ জুন, ২০১৪
মূল মামলা সারদা রিয়েলটিকে সামনে রেখে সুদীপ্ত-কুণাল সহ রাজ্য পুলিসের হাতে ধৃত ছ'জনকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।
২০ আগস্ট, ২০১৪
সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতার ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু।
একে একে গ্রেফতার হন প্রাক্তন পুলিসকর্তা তৃণমূল নেতা রজত মজুমদার, ব্যবাসায়ী সন্ধির আগরওয়াল ও অসমের সঙ্গীত শিল্পী সদানন্দ গগৈ।
২১ নভেম্বর, ২০১৪
২১ নভেম্বর গ্রেফতার হন তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসু।
১২ ডিসেম্বর, ২০১৪
গ্রেফতার করা হয় পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র, ও সারদার আইনজীবী নরেশ ভালোটিয়াকে।
৩০ জানুয়ারি ২০১৫
এ বছরের তিরিশে জানুয়ারি তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূল নেতা মুকুল রায়কে।
তবে ততদিনে সারদা তদন্তের জল অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাতঙ্গ সিং, সুদীপ্ত সেনের মেন্টর শিবনারায়ণ দাস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী এবং সিপিআইএম নেতা রবীন দেব ও কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রকেও। নথি চেয়ে পাঠানো হয় বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় ও শিল্পী শুভাপ্রসন্নর কাছে। অ্যায়-ব্যায়ের হিসেব চেয়ে নোটিস গিয়েছে তৃণমূল ভবনে।
মে, ২০১৫
এই মে মাসেই সারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে এসেছে সংস্থার এজেন্ট অরিন্দম দাস।
এখনও পর্যন্ত সারদা রিয়েলটি মামলায় তিনটি চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটগুলিতে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, দেবব্রত সরকার, রজত মজুমদার, সন্ধির আগরওয়াল, সজ্জন আগরওয়াল,সদানন্দ গগই, মদন মিত্র, সৃঞ্জয় বসু, নরেশ ভালোটিয়া, শিবনারায়ণ দাস, মাতঙ্গ সিংকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। অভিযুক্ত করা হয় সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষকে। এই মামলার জাল গুটিয়ে এনেছে সিবিআই। এ মাসের শেষ বা আগামী মাসের গোঁড়াতেই সম্ভবত শেষ চার্জশিট দেবে সিবিআই।