খাগড়াগড় কাণ্ডে ধৃত ৩ জামাত জঙ্গি এনআইএ-এর হেফাজতে
খাগড়াগড় কাণ্ডে অসম থেকে ধৃত তিন জামাত জঙ্গিকে হেফাজতে পেল এনআইএ। তিনজনকে কলকাতায় আনার জন্য এনআইএর আবেদন এদিন মঞ্জুর করে নগর দায়রা আদালত।
![খাগড়াগড় কাণ্ডে ধৃত ৩ জামাত জঙ্গি এনআইএ-এর হেফাজতে খাগড়াগড় কাণ্ডে ধৃত ৩ জামাত জঙ্গি এনআইএ-এর হেফাজতে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/12/20/32818-burdwan.jpg)
ব্যুরো: খাগড়াগড় কাণ্ডে অসম থেকে ধৃত তিন জামাত জঙ্গিকে হেফাজতে পেল এনআইএ। তিনজনকে কলকাতায় আনার জন্য এনআইএর আবেদন এদিন মঞ্জুর করে নগর দায়রা আদালত।
গুয়াহাটি জেল থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনজনকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। এই ঘটনায় অন্যতম দুই অভিযুক্ত হাসেম মোল্লা ও রাজিয়া বিবিকেও তিন দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণস্থল এবং শিমুলিয়ার অনুমোদনহীন মাদ্রাসা থেকে মিলেছিল বেশ কিছু জেহাদি বই এবং নথিপত্র। উদ্ধার হওয়া সেই সব নথির বিষয়ে তথ্য জানতে হাসেম মোল্লা এবং রাজিয়া বিবিকে ফের নিজেদের হেফাজতে নিল এনআইএ। দুজনের তিন দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালত। ধৃত পাঁচ জামাত জঙ্গি আবুল হাকিম, আমজাদ শেখ, আলিমা বিবি, খালেদ মোল্লা ও জিয়াউল হককে ১৪ দিনের জেল হেফাতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শাহনুর আলম, সহিকুল ইসলাম এবং রফিকুল ইসলাম। খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম চক্রী, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতের এই তিন সদস্য অসম পুলিসের জালে ধরা পড়ে। গুয়াহাটি জেলে থাকা এই তিন জঙ্গিকে এবার কলকাতায় আনা হচ্ছে। ভারতে জামাতের কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য পেতে এদের জেরা করবে এনআইএ।
বিএড পরীক্ষা দিতে চেয়ে শনিবার বিচারকের কাছে আবেদন করে খাগড়াগড়কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত জিয়াউল হক। পরীক্ষার জন্য বাড়িতে যেতে চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন করে জিয়াউল। জিয়াউলের পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখে পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য এনআইএ এবং জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।