২৮ বছরের গবেষণায় আবিষ্কার ভূমিকম্পের অ্যালার্ম, আর্থিক সঙ্কটে পড়ে আবিষ্কর্তার গবেষণাগারেই
![২৮ বছরের গবেষণায় আবিষ্কার ভূমিকম্পের অ্যালার্ম, আর্থিক সঙ্কটে পড়ে আবিষ্কর্তার গবেষণাগারেই ২৮ বছরের গবেষণায় আবিষ্কার ভূমিকম্পের অ্যালার্ম, আর্থিক সঙ্কটে পড়ে আবিষ্কর্তার গবেষণাগারেই](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/05/13/37880-earthquakealert.jpg)
একের পর এক ভূমিকম্প। আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মধ্যে। মনে একরাশ অনিশ্চয়তা, কখন কী হয়! এরই মধ্যে এমন এক যন্ত্রের খোঁজ মিলল, যা ভূমিকম্পের আগে আগাম সতর্ক করে দেয়।
শিলিগুড়ির বাসিন্দা নারায়ণ জেঠওয়ানির, ২৮ বছরের গবেষণার ফসল ওই অ্যালার্ম। যন্ত্র রেডি হলেও, আর্থিক সঙ্কটে তা নিয়ে আর এগোতে পারছেন না প্রবীণ ওই ইঞ্জিনিয়ার। এই আওয়াজটুকুই ভরসা। হয়ত আগামিদিনে এই অ্যালার্মই প্রাণ বাঁচাবে লাখো মানুষের। কিন্তু আপাতত এই যন্ত্রের ঠিকানা, নারায়ন জেঠওয়ানির ছোট্ট ল্যাব। ভূমিকম্পের আগে, তারস্বরে আওয়াজ করে আগাম সতর্ক করে দেয় তাঁর এই যন্ত্রটি।
কর্মসূত্রে দীর্ঘকাল ভূটানে ছিলেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার নারায়ণবাবু। সেখানে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তাঁর মাথায় আসে এমন এক যন্ত্রের ভাবনা। দীর্ঘ ২৮ বছরের কঠিন পরিশ্রম এবং গবেষণার পর তিনি আবিষ্কার করেন earthquake alert নামে ওই যন্ত্রটি। দু হাজার ছয়ে তাঁর আবিষ্কার সম্পর্কে ইন্ডিয়ান ইনোভেশন ফাউন্ডেশনকে লিখিতভাবে জানিয়েওছিলেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, সরকার এবিষয়ে নজর দেয়নি।
নারায়ণবাবুর যন্ত্রের উপযোগিতা নিয়ে অবশ্য কোনও দ্বিমত নেই তাঁর প্রতিবেশীদের। মঙ্গলবারও, ভূমিকম্পের সময় এর উপযোগিতা হাতেনাতে বুঝতে পেরেছেন তাঁরা।