'স্বাধীনতা'র দাবিতে চিন-তাইওয়ান বিবাদ তুঙ্গে
সম্প্রতি স্থানীয় নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি। ফলে আবার হম্বিতম্বি শুরু করেছে চিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাইওয়ান আর চিনের টানাপোড়েন আবারও তুঙ্গে। কয়েকদিন আগেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হুমকি দিয়েছিলেন, তাইওয়ানকে স্বাধীনতার স্বপ্ন ভুলতে হবে। চিনের সঙ্গে জুড়ে যেতে হবে। এ হেন মন্তব্য মানা অসম্ভব। পাল্টা সুর চড়িয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। আপত্তি উড়িয়ে সমুদ্র সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে দিয়েছে চিন।
চিন মনে করে, তাইওয়ান তাদের। আর তাইওয়ান ১৯৫০ সাল থেকে মনে করে আসছে তারা স্বাধীন। যদিও তাইওয়ান অর্থনৈতিক ভাবে অনেকটাই চিনের ওপরেই নির্ভরশীল। সে কারণেই দক্ষিণ চিন সমুদ্রের ছোট্ট এ দ্বীপ দেশটির অনেকেই আবার চিনের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পক্ষেও রয়েছে। তাইওয়ানের ক্ষমতায় রয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির সাই ইং ওয়েন। ওয়েনের দল দেশের স্বাধীনতারই পক্ষে।
সম্প্রতি স্থানীয় নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি। ফলে আবার হম্বিতম্বি শুরু করেছে চিন। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি হুঙ্কার ছেড়েছেন, যে করেই হোক, তাইওয়ানকে চিনের মধ্যে আনতেই হবে। স্বাধীনতার দাবি ছাড়ব না, পাল্টা সুর চড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন।
আরও পড়ুন- চেন্নাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ রাহুল, কলকাতায় কেন নাম নিলেন না? স্টালিনকে প্রশ্ন বিজেপির
তাইওয়ানের কাজকর্ম স্বাধীন দেশের মতোই। কিন্তু চিনের চাপে, সম্পূর্ণ ভাবে এখনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোটেনি। তাইওয়ানের আশেপাশে চিনা সেনার নজরদারি বাড়ছে। ড্রাগনের থাবা থেকে বাঁচতে আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য প্রার্থনা করছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? প্রশ্ন কিন্তু দেশের অভ্যন্তরেই।