খাদ্য পাথর, মলের সঙ্গে বেরোচ্ছে বালি! অদ্ভুত পোকার খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা
এই পোকার সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা প্রাণী জগতের নতুন এক দিক খুঁজে পাওয়ার আশা করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পাথর খেয়ে হজম করে ফেলছে। মল দিয়ে বেরিয়ে আসছে বালি। এক অদ্ভুত দর্শন পোকাকে ঘিরে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও রহস্য বাড়ছে। কী করে সেই পোকা পাথর খেয়ে হজম করে ফেলছে, তা নিয়ে গবেষণায় বসেছেন বিজ্ঞানীরা। এক নতুন প্রজাতির পোকা খুঁজে পেয়েছেন একদল ফ্রেঞ্চ বিজ্ঞানী। সেই পোকার কাণ্ড-কারখানা দেখে তাঁরা চমকে উঠেছেন। সেই পোকার প্রধান খাবার হল পাথর। সেই পাথর অবলীলায় হজম করে ফেলছে সে। তার পর মলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসছে বালি। বিশেষ প্রজাতির এই পোকার সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা প্রাণী জগতের নতুন এক দিক খুঁজে পাওয়ার আশা করছেন।
আরও পড়ুন- এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বোমাতঙ্ক! মাঝপথেই জরুরি অবতরণ!
কোনও সাধারণ পোকা নয়। সাদা লম্বাটে কেঁচোর মত দেখতে এই পোকার প্রধান খাদ্য পাথর। হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। ফিলিপিন্সের আবাতান নদীতে পাথরের চাঁইয়ে ২০০৬ সালে প্রথমবার এই ধরনের পোকা পাওয়া গিয়েছিল। তখন এই পোকাকে শিপ ওয়ার্ম বলে মনে করেছিলেন প্রাণীবিজ্ঞানীরা। শিপ ওয়ার্ম অবশ্য নতুন কিছু নয়। টেরেদিনিদি গোত্রের অন্তরগত এই পোকা কাঠের জাহাজের তলার অংশ কেটে ফুটো করে দেয়। অনেকটা আমাদের চেনা-পরিচিত উই পোকার মতো। তখন পাথরের ভিতর এই পোকাগুলি পেয়ে সেই শিপ ওয়ার্ম ভেবেই ভুল করেছিলেন প্রাণীবিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- জি-২০ সামিটে ওসাকায় মোদী; ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শুক্রবার
তবে সম্প্রতি ফিলিপিন্সে এক বিশেষ অভিযানে যান ফ্রান্সের ন্যাশানাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির একদল বিজ্ঞানী। তখনই এই পোকা আবার দেখতে পান বিজ্ঞানীরা। সেখানে এক পাথরের চাঁইয়ের মধ্য়ে এই পোকা দেখতে পান তাঁরা। আগের বারের মতোই এগুলিও সেই পোকা বলেই ভেবেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু একটু পরেই ভাঙে ভুল। কাঠ খাওয়া পোকা পাথরের ভিতর গর্তে কি করছে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে গিয়েই জানা যায়, শিপ ওয়ার্ম নয়, সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির পোকা এটি। পাথর কুঁড়ে কুঁড়ে খায় এই পোকা। এই পোকার মলেও পাওয়া গিয়েছে বালি।
নতুন প্রজাতির এই ওয়ার্মের নাম দেওয়া হয়েছে লিথারেডো অ্যাবাটানিকা। এই পোকার পেটে মিলেছে এক বিশেষ উৎসেচক, যা পাথর গলিয়ে তা হজম করতে সাহায্য করে। প্রাণীবিজ্ঞানীদের মতে এই উৎসেচক থেকে তৈরি করা যেতে পারে বিশেষ ওযুধ। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই গবেষণায় এগোতে চাইছেন গবেষকরা।