হীরে ফেরত চেয়ে মৃত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে মামলা
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তো নেই। আছে তাঁর মুকুট। আর তার ওপরেই আছে ১০৫ ক্যারটের হীরে। ওই কোহিনূর ফেরত চেয়েই পাকিস্তানের এক আদালতে মামলা করলেন এক পাকিস্তানি আইনজীবী।

ওয়েব ডেস্ক: রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তো নেই। আছে তাঁর মুকুট। আর তার ওপরেই আছে ১০৫ ক্যারটের হীরে। ওই কোহিনূর ফেরত চেয়েই পাকিস্তানের এক আদালতে মামলা করলেন এক পাকিস্তানি আইনজীবী।
বিশেষজ্ঞদের মতে কোহিনূরের মালিকানা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। কখনও ওই হীরের মালিক ছিলেন মুঘল সম্রাটরা। কখনও পাঠানরা আবার কখনও তার মালিক হয়েছিলেন পাঞ্জাবের মহারাজারা। ভারতে ব্রিটিশ শাসন কায়েম হবার পর ওই রত্নের মালিকানা নেন ব্রিটিশরা। এরপর ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করার পর দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশরা। কোম্পানি আমল থেকে অনেক কিছুই ভারতের সম্পদ পৌঁছে গিয়েছে ব্রিটেনে, তা আর কখনও ফেরেনি। কোহিনূরের সঙ্গেও তেমনটাই হয়। দেশ তো ছাড়ল ব্রিটিশরা সঙ্গে নিয়ে গেল কোহিনূর।
কোহিনূর ফেরত পেতে ব্রিটেনের রানীর উদ্দেশ্যে ৭৮৬টি চিঠি লিখেও যখন কোনও জবাব আসেনি তখন মামলা করতে বাধ্য হন ওই আইনজীবী।
উল্লেখ্য ২০১০-এ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরুন ভারতে এসেছিলেন। তখন কোহিনূর বিতর্ক উস্কে দিয়ে তাঁকে হীরে ফেরত দেওয়ার কথা বলা হলে তিনি তাতে কোনও রকম কর্ণপাতই করেননি।