এক পাউন্ডে লন্ডনে মিলছে বাড়ি, স্টোক শহরকে বাঁচাতে প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগ
এ যেন লাখ টাকার জিনিস মাত্র এক টাকায়। ভাবতে অবাক লাগলেও এমনটাই হচ্ছে লন্ডনে। এক পাউন্ডে বিক্রি হচ্ছে বাড়ি। তবে, একটু পুরনো। কিন্তু, স্টোক শহরকে বাঁচাতে এছাড়া আর কোনও উপায়ই খুঁজে পায়নি প্রশাসন। কারণ, পোর্সেলিন শিল্প উঠে যাওয়ার পর লন্ডনের এই শহর প্রায় জনশূন্য হতে বসেছিল।
এ যেন লাখ টাকার জিনিস মাত্র এক টাকায়। ভাবতে অবাক লাগলেও এমনটাই হচ্ছে লন্ডনে। এক পাউন্ডে বিক্রি হচ্ছে বাড়ি। তবে, একটু পুরনো। কিন্তু, স্টোক শহরকে বাঁচাতে এছাড়া আর কোনও উপায়ই খুঁজে পায়নি প্রশাসন। কারণ, পোর্সেলিন শিল্প উঠে যাওয়ার পর লন্ডনের এই শহর প্রায় জনশূন্য হতে বসেছিল।
এবার জলের দরে বাড়ি বেচে, সেখানেই নতুন বসতি গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে।স্টোক শহরের বুকেই একসময় ছিল কয়লা খনি। ছিল পোর্সেলিনের বিশাল কারবার। কিন্তু, সময়ের হাত ধরে সেই গরিমা হারিয়েছে স্টোক। তার জেরেই ক্রমশ জনমানবশূন্য হয়েছে লন্ডনের এই শহর। যারা থাকতেন, রুজির সন্ধানে চলে গিয়েছেন অন্যত্র। আর তাদের ফেলে যাওয়া বাড়িতেই আস্তানা গেড়েছিল সমাজবিরোধীরা।
বহু চেষ্টা করেও ফেরানো যায়নি আইনশৃঙ্খলার হাল। আর তাই নেওয়া হয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ। মাত্র এক পাউন্ডে স্টোক শহরের তেত্রিশটি বাড়ি বিক্রি করে দিচেছে প্রশাসন। এরকম একটা বাড়ি কিনতে গেলে যেখানে খরচ করতে হোতো এক লক্ষ পাউন্ড, সেটাই মিলবে এক পাউন্ডে। ঘোষণাটা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন করেন ৬০০ আগ্রহী ক্রেতা। বেছে নেওয়া হয়েছে ৩৩ জনকে। কিন্তু, সেটাই শেষ কথা না। বাড়ি কিনে ফেলে রাখা যাবে না। টানা দশবছর থাকতেই হবে এই বাড়িতে। তার আগে বিক্রি করলে লাভের টাকা ঢুকবে সরকারের ঘরে। রয়েছে পুরনো বাড়ি মেরামতির জন্য সুযোগও। তিরিশ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন ক্রেতারা। কম সুদেই সেই টাকা ধার দেবে সরকার। সবটাই স্টোক শহরে বাঁচাতে।
পুরনো হোক। তাকে নতুন করে নিতে অসুবিধা কোথায়? তাই এক পাউন্ডে বাড়ি পাওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বসিত ক্রেতারা।
প্রশাসনের আশা, এতেই বাঁচবে স্টোক। নিশ্চিন্ত হবেন এই শহরের অন্য বাসিন্দারাও। কারণ লোকজন থাকতে শুরু করলেই কমবে অসামাজিক কাজকর্ম।