ইরান-ইরাক সীমান্তে প্রবল ভূমিকম্প, মৃত ২০৭, আহত ১৭০০
রাত ৯ টা ২০ মিনিট নাগাদ প্রবল কম্পনে কেঁপে উঠল ইরাক-ইরান সীমান্তের পাহাড়ি এলাকা। রাত হওয়ায় সে সময় অধিকাংশ মানুষই বাড়িতেই ছিলেন। ৭.৩ মাত্রার কম্পনে বিপুল ভূমি ধস হয়েছে। আর তাই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলিকে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি আতঙ্ক গ্রাস করেছে সম্পূর্ণ জনপদটিকে।
![ইরান-ইরাক সীমান্তে প্রবল ভূমিকম্প, মৃত ২০৭, আহত ১৭০০ ইরান-ইরাক সীমান্তে প্রবল ভূমিকম্প, মৃত ২০৭, আহত ১৭০০](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2017/11/13/98726-eq.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ইরান-ইরাক সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় কমপক্ষে প্রাণ হারালেন ২০৭ জন, আহতের সংখ্যা ১৭০০-এরও বেশি। পাহাড়ি এলাকায় এমন প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার ফলে উদ্ধারকার্যও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ইরান সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের উপ-প্রধান বেহনাম সইদি জানাচ্ছেন, "আমাদের দল ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে"। পরিস্থিতি সামাল দিতে আপদকালীন শিবির তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছে ইরানের কারমানশাহ প্রদেশের সরকার।
ইরানি কুর্দিস্তানের ৩০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে স্থানীয় সময় রাত ৯:২০ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে দফতর। সেই সময় অধিকাংশ মানুষই বাড়িতে ছিলেন। ফলে মৃত ও আহতের সংখ্যা বাড়ছে তড়তড়িয়ে।
ইরান এমার্জেন্সি সার্ভিসের প্রধান পির হোসেন কোলিবন্দ জানিয়েছেন, "প্রবল ভূমিধ্বসের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার গ্রামাঞ্চলে উদ্ধারকারী দল পাঠানোই সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বহু ক্ষেত্রেই রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে"।
এদিকে, তীব্র কম্পনের সময় যখন বসতবাড়িগুলির জানলার পাল্লাগুলি সজোরে খুলছিল এবং বন্ধ হচ্ছিল, লেসময় আতঙ্কগ্রস্থ মানুষের আর্তনাদের ছবি পোস্ট হয়েছে টুইটারে।