৫০ বছরে ভয়ঙ্করতম খরার কবলে ইথিওপিয়া
১) আমেরিকা, চিন যদি কাঁপে, জাপানই বা বাদ থাকে কেন? ষোলোকলা পূর্ণ। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি যেন কেঁপে কেঁপে উঠছে শীত-সন্ত্রাসে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। বরফের মহাসমারোহ। রাস্তাঘাট, নদীনালা, সাগরে বরফের পুরু আস্তরণ। জাপানের পশ্চিম ও উত্তর উপকূল দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। হাড়ে শিরশিরানি। বাস, ট্রেন বন্ধ। প্রায় দেড়শো উড়ান বাতিল। একশো পনেরো বছরে এই প্রথমবার দক্ষিণ জাপান তুষারঝড়ের কবলে।
২) আহা! চোখে দেখেও কী সুখ! ইতালি এখন উত্সবমুখর। খালবিলের টলটলে জলে ভেসে বেড়াচ্ছে যেন মরাল-মরালি। নৌকার সারি। কে যেন রং ছড়িয়ে দিল ভোরেরই আকাশে। নানা আকার আর নিত্যনতুন ঢঙে সেজে উঠেছে নৌকাগুলি। রংবেরঙের পোশাকে নৌকা বাইছেন মাঝিরা।ভেনিস উত্সব বলে কথা!
৩) দক্ষিণ আলাস্কায় ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা সাত দশমিক তিন। পেদ্রো উপকূলের তিরিশ মাইল পূর্বে লিয়ামনা লেকের তীরে আঘাত হানে কম্পন। তবে সুনামির কোনও সতর্কবার্তা দেয়নি মার্কিন জুলজিক্যাল সার্ভে। ক্ষয়ক্ষতিরও বড়সড় কোনও খবর মেলেনি।
৪) যে দিকে চোখ যায় শুধু ধূ ধূ প্রান্তর। মাঠঘাট ফেটে ফুটিফাটা। পঞ্চাশ বছরে ভয়ঙ্করতম খরার কবলে ইথিওপিয়া। আজই আফ্রিকার এই ছোট্ট দেশটিতে শুরু ছাব্বিশতম আফ্রিকান ইউনিয়ন সম্মেলন। যোগ দিতে এসেছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। এই ভয়ঙ্কর দুর্দিনে শিশু বাঁচাও স্লোগান ইথিওপিয়ার মুখে।