France: মৃতের পরিবারের থেকে বেশি হল হত্যাকারীর পরিবারের জন্য অনুদান, অবাক ঘটনা ফ্রান্সে
ফ্রান্সে এই বিক্ষোভের শুরু মঙ্গলবার। ওই দিন প্যারিসের শহরতলির নতেঁর একটি চেকিং পোস্টে নাহেলকে গুলি করে হত্যা করেন এক পুলিস কর্মকর্তা। এরপর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা হিংসার রূপ নেয়। বিক্ষোভ দমাতে ও লুটপাট বন্ধ করতে ফ্রান্স জুড়ে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়।
![France: মৃতের পরিবারের থেকে বেশি হল হত্যাকারীর পরিবারের জন্য অনুদান, অবাক ঘটনা ফ্রান্সে France: মৃতের পরিবারের থেকে বেশি হল হত্যাকারীর পরিবারের জন্য অনুদান, অবাক ঘটনা ফ্রান্সে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/07/04/428205-france-cop.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত সপ্তাহে একজন কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে এক ফরাসি পুলিস। এই ঘটনায় দেশব্যাপী দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। সেই পুলিস কর্মীর পরিবারের জন্য ডোনেশন সোমবার ৯৮৬,০০০ ইউরো পেরিয়ে গিয়েছে। এই অনুদানের পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাওয়া অনুদানের পরিমানের তুলনায় অনেকটা বেশি।
৪০,০০০ এরও বেশি মানুষ ওই পুলিস অফিসারের জন্য অনলাইন তহবিলে অর্থ দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সংগ্রহটি সহজেই মৃত ১৭ বছর বয়সী নাহেলের পরিবারের জন্য সংগ্রহ করা ১৮৯,০০০ ইউরোকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। নেহাল উত্তর আফ্রিকার বংশোদ্ভূত এবং পশ্চিম প্যারিসের শহরতলিতে একটি হাউজিং এস্টেটে তার মায়ের সঙ্গে থাকত।
'আমার মেয়ের মধ্যে জীবন বলতে আর কিছু বেঁচে নেই, ও শেষ হয়ে গিয়েছে। তোমরা এবার দাঙ্গা বন্ধ করো!' অশ্রুবিজড়িত কণ্ঠে স্বদেশ-স্বজাতীয়দের প্রতি আকুল ও আন্তরিক আবেদন রাখলেন ফ্রান্সে পুলিসের গুলিতে নিহত কিশোর নাহেলের দিদা। টানা ছ'দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স। পুলিসের গুলিতে ১৭ বছরের কিশোর নাহেল এম হত্যার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে এবার নাহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের কোনও রকম হিংস্রতায় না জড়ানোর আহ্বান জানানো হল। নাহেলের পরিবারের অবশ্য দাবি, ফরাসি পুলিসের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতি এবার বদলাতে হবে।
আরও পড়ুন: July Supermoon: হাত বাড়ালেই চাঁদ! আজ সন্ধে হলেই পৃথিবীর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলবে সুপারমুন...
ফ্রান্সে এই বিক্ষোভের শুরু মঙ্গলবার। ওই দিন প্যারিসের শহরতলির নতেঁর একটি চেকিং পোস্টে নাহেলকে গুলি করে হত্যা করেন এক পুলিস কর্মকর্তা। এরপর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা হিংসার রূপ নেয়। বিক্ষোভ দমাতে ও লুটপাট বন্ধ করতে ফ্রান্স জুড়ে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়।