দুই দেশের মতপার্থক্য কখনও বিতর্কিত বিষয় হওয়া উচিত নয়, বেজিংয়ে বার্তা বিদেশমন্ত্রীর
চিনা ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর
![দুই দেশের মতপার্থক্য কখনও বিতর্কিত বিষয় হওয়া উচিত নয়, বেজিংয়ে বার্তা বিদেশমন্ত্রীর দুই দেশের মতপার্থক্য কখনও বিতর্কিত বিষয় হওয়া উচিত নয়, বেজিংয়ে বার্তা বিদেশমন্ত্রীর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/08/12/204136-sjaishankar.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়া দিল্লির অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্তের ৩ দিন পরই চিনের কাছে অনুযোগ জানতে যায় পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। সন্তোষজনক বার্তা চিনের থেকে মেলেনি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৩ দিনের চিন সফরে আজ বেজিংয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভারত সফরের বিষয় নিয়েই বৈঠক করবেন তিনি। এরমধ্যে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা বাড়ায় চিনা ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশানের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয় এস জয়শঙ্করের।
চিনা ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন, দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মতপার্থক্যে বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। ‘পিসফুল কো-এগজিস্টেন্স’ অনুযায়ী পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগোনোর বার্তা দেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বিশ্বে শান্তি এবং মানবজাতির উন্নয়ন বজায় রাখতে এবং দুই দেশের মানুষের স্বার্থে তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে হবে বলে জানান ওয়াং। কাশ্মীর প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা সম্পর্কে কড়া পর্যবেক্ষণ করছে বেজিং।
আরও পড়ুন- নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে আরএসএস-এর তুলনা! কাশ্মীর নিয়ে ইমরান খানের ফের উস্কানিমূলক মন্তব্য
মোদী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ে এই প্রথম কোনও মন্ত্রীর বিদেশসফর। বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম চিন সফরে গেলেন এস জয়শঙ্কর। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চিনে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন জয়শঙ্কর। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষের দিকে ভারত সফরে আসতে পারেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তা নিয়েই প্রাথমিক আলোচনা হয় দুই দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে।