রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে আমেরিকাকে কটাক্ষ আসাদের

রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের জন্য কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। খরচ হবে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। বললেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার অল আসাদ। রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা নিয়ে আমেরিকাকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। আসাদের পাশে দাঁড়িয়ে মস্কো দাবি করেছে, দামাস্কাসের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় যে বিদ্রোহীরাই জড়িত, এ বিষয়ে তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হাতে সেই প্রমাণ তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া।

Updated By: Sep 19, 2013, 11:13 PM IST

রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের জন্য কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। খরচ হবে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। বললেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার অল আসাদ। রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা নিয়ে আমেরিকাকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। আসাদের পাশে দাঁড়িয়ে মস্কো দাবি করেছে, দামাস্কাসের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় যে বিদ্রোহীরাই জড়িত, এ বিষয়ে তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হাতে সেই প্রমাণ তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া।  
২০১৪-র মাঝামাঝি সিরিয়ার সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলা হবে। আমেরিকা-রাশিয়ার এই চুক্তির ফলে আপাতত পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের আশঙ্কা কেটেছে। তবে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার অল আসাদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের হাতে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করতে কমপক্ষে এক বছর লাগবে। সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের কথা বলায় বারাক ওবামাকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি আসাদ। নাম না করে বলেছেন, যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন নাগরিকরা কী ভাবছেন তা দেখা উচিত। একইসঙ্গে, তাঁর বক্তব্য রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের সময় পরিবেশের ওপর যাতে খারাপ প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাসাদের মন্তব্য, ওয়াশিংটনের যদি তাড়া থাকে তা হলে অস্ত্র ধ্বংসের জন্য ১০০ কোটি ডলার দিক না তাঁরা। নিজেদের দেশে রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কি আমেরিকা নেবে ?
কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে, রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের জন্য সাতাশ লক্ষ মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা জানিয়েছে জার্মানি। এ সবের মধ্যেই রুশ উপ-বিদেশমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভের সঙ্গে দেখা করেছেন আসাদ। দেখা করেছেন প্রাক্তন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল রামসে ক্লার্কের সঙ্গেও। একুশে অগাস্ট দামাস্কাসে হামলার বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টকে একপেশে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ উপ-বিদেশমন্ত্রী। যদিও, রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে রাশিয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে।
নার্ভ গ্যাসে ভরা রকেট ছোঁড়ার দায়ও সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ওপরই চাপিয়েছে রাশিয়া। এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। সিরিয়া নিয়ে কূটনৈতিক চাপান-উতোরের মধ্যেই তুরস্ক সীমানায় বিদ্রোহীদের নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে খবর। বিদ্রোহীদের আল-কায়েদা প্রভাবিত গোষ্ঠীর সঙ্গে পশ্চিমি বিশ্বের সমর্থনপুষ্ট ফ্রি সিরিয়ান আর্মির লড়াই চলছে।
 

.