৪৮ দিনে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত যুবক! সব হিসেব, গবেষণার দফারফা
এত কম সময়ের মধ্যে তাঁর দুবার কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর চিকিৎসকদেরও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।
![৪৮ দিনে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত যুবক! সব হিসেব, গবেষণার দফারফা ৪৮ দিনে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত যুবক! সব হিসেব, গবেষণার দফারফা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/10/13/281088-corona.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন- একই রোগীর শরীরে দুবার করোনাভাইরাস হানা দিতে পারে না! গবেষণার পর কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এমন দাবি করেছিলেন বটে! তবে তাঁদের সেই দাবি আরো একবার ভুল বলে প্রমাণিত হল। এমনিতেই আবহাওয়া ও রোগীর শরীরের গঠন অনুযায়ী করোনাভাইরাসের প্রভাব আলাদাভাবে দেখা দিচ্ছে। একজনের ক্ষেত্রে যেসব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, আরেক জনের ক্ষেত্রে হয়তো সেগুলো নেই। এক কথায় বললে, করোনা সম্পর্কে প্রচ্ছন্ন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। স্রেফ আন্দাজেই চলছে চিকিৎসা। এবার এক ব্যক্তির ৪৮ দিনে দুবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এত কম সময়ের মধ্যে তাঁর দুবার কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর চিকিৎসকদেরও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।
২৫ বছর বয়সী সেই ব্যক্তি আমেরিকার নেভাডা রাজ্যের ওয়াশো কাউন্টটিতে থাকেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। গলায় ও মাথায় ব্যথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ছিল। মৃদু উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার পর জানা যায়, সেই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর চিকিৎসা শুরু হয়। কিছুদিন পর টেস্ট করা হয়। সেবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর মে মাসের শেষের দিকে সেই যুবকের শরীরে ফের করোনার উপসর্গ দেখা যায়। পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে প্রথমবারের থেকে দ্বিতীয়বার তাঁর শারীরিক অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল।
আরও পড়ুন- করোনা ক্লাস্টার চিহ্নিত করতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে ভারতের আরোগ্য সেতু অ্যাপ, প্রশংসা WHO প্রধানের
বিশেষজ্ঞদের একটি দল জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির উপর আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি কেন, সেটাই এখন বিশেষজ্ঞদের জানার বিষয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উপসর্গহীন হয়ে করোনার জীবাণু শরীরে নিয়েও অনেকে রাস্তায় ঘুরছেন। তাই প্রত্যেকের মুখে মাস্ক থাকা জরুরি। এমনকী ঘন ঘন স্যানিটাইজার-এর ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও একইভাবে প্রয়োজন।