ভারতীয় মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া, বিক্রি করবে প্রযুক্তিও
রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ কে শিবন।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/24/171263-sudip2.jpg?itok=f8x2KbO2)
![ভারতীয় মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া, বিক্রি করবে প্রযুক্তিও ভারতীয় মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া, বিক্রি করবে প্রযুক্তিও](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/08/26/205872-gaganyaan.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: চন্দ্রযান-২ চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে। এই মুহূর্তে ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে নির্দিষ্ট সময়ে চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারকে নামানো। তবে, চন্দ্রযান-২-এর ব্যস্ততার মধ্যেই পরবর্তী অভিযান ‘গগনযান’ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। গগনযানের মাধ্যমেই প্রথমবার মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। আর ভারতকে এই অভিযানে সাহায্য করবে রাশিয়া। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ কে শিবন।
গগনযান অভিযানের বিষয়ে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের সঙ্গে আলোচনা করছেন ইসরোর কর্তারা। এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা চললেও বেশ কিছু বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস। ডঃ শিবন বললেন, "ভারতীয় মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।" তিনি জানান, গগনযানের জন্য বাছাই করা মহাকাশচারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া।
শুধু তাই নয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকে ভারতকে সহায়তা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে রসকসমস। ডঃ শিবন বলেন, "রাশিয়া তারা সেমি-ক্রায়োজেনিক রকেট ইঞ্জিনের প্রযুক্তি দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় ভারতের মাটিতেই সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রকেট ইঞ্জিন বানানো যেতে পারে।"
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমন থেকে মহাকাশ গবেষণায় রাশিয়াকে পাশে পেতে মস্কোয় ডোভাল
সম্প্রতি রুশ মহাকাশ সংস্থা জানায়, মহাকাশ অভিযান, কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রণ ও ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডঃ শিবন জানান, ইসরো রাশিয়ার মস্কোতে একটি গ্রাউন্ড স্টেশন বানানোর পরিকল্পনা করছে। একই ভাবে রসকসমস ভারতে ব্যাঙ্গালুরুতে একটি গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করতে চাইছে। এর মাধ্যমে কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে জানান তিনি।
গগনযান অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি কি তাহলে রাশিয়ার থেকেই আসবে? সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানালেন ডঃ শিবন। তিনি বললেন, "আলোচনা চলছে। আমাদের প্রয়োজন হলে তবেই রুশ প্রযুক্তি বা যন্ত্রাংশ কেনা হবে।"
চন্দ্রযান-২ প্রসঙ্গে ইসরো কর্তা জানালেন, আর তিনটি ম্যানুভারের অপেক্ষা। তারপরেই চাঁদ থেকে প্রায় ১০০কিমি দূরত্বে অবস্থান করবে চন্দ্রযান-২। তারপরেই ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার বিক্রম।