CV Ananda Bose | Kazi Nazrul Islam University: উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ আচার্যের, সমর্থন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ মঞ্চের
আচার্যের নির্দেশের পরে তদন্তের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আচার্যের নির্দেশ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়গুলি জেনেছি। তবে তদন্তের কাজ এখনও শুরু করা হয়নি। আচার্য আরেকটি বিস্তারিত চিঠি পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। তার পরেই তদন্ত কমিশন বসিয়ে তদন্ত শুরু হবে’।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতি-সহ নানা অনিয়মের তদন্তের জন্য আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কমিশন বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিকদের যৌথমঞ্চ বিবৃতি দিয়ে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর করার আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আচার্যের নির্দেশের পরে তদন্তের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আচার্যের নির্দেশ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়গুলি জেনেছি। তবে তদন্তের কাজ এখনও শুরু করা হয়নি। আচার্য আরেকটি বিস্তারিত চিঠি পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। তার পরেই তদন্ত কমিশন বসিয়ে তদন্ত শুরু হবে’।
অন্যদিকে, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, সাধন চক্রবর্তীর সঙ্গেই কাজ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন এক আধিকারিকের বিরুদ্ধেও আর্থিক অনিয়ম-সহ আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির অবশ্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
উপাচার্য জানাচ্ছেন, ‘অভিযোগগুলির বিষয়ে ওই আধিকারিকের কাছে জানতে চেয়েছি। সাত দিনের মধ্যে উত্তর জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার সে সময়সীমা শেষ হলেও উত্তর মেলেনি। এ বার পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে’।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: 'রাজ্যপাল হরিদাস পালের চেয়েও অধম, ১১ তারিখ টিকিট কাটুন'
২০১৫-য় আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরন অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী। সম্প্রতি তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়েই অস্থায়ী অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। চলতি বছরের মার্চে সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম-সহ বেশ কিছু অভিযোগ করে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকদের বড় অংশই আন্দোলনে নামেন।
সাড়ে তিন মাস ধরে আন্দোলন চলে। আন্দোলনকারীরা অনিয়মের অভিযোগ করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দফতরে চিঠিও দিয়েছিলেন। ১৪ মার্চ থেকে লাগাতার অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: 'বিজেপি প্রার্থী জিতলে এলাকায় স্বামী বাঁচাও প্রকল্প চালু করতে হবে'!
ইতিমধ্যে সাধন চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করেন রাজ্যপাল। তার বিরুদ্ধে সাধন চক্রবর্তী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তবে, আদালত সাধনকে পদ ছাড়তে বলে। ইতিমধ্যে তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। গোড়া থেকেই অবশ্য সাধন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ মানতে চাননি।
অন্যদিকে, ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যমঞ্চ’-র তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বর্তমান উপাচার্যের নানা কাজের প্রতি পূর্ণ সমর্থক ব্যক্ত করা হয়েছে।