WB Assembly Election 2021: ভোট দিলেও কাঁটাতারের বেড়া সরবে কবে, প্রশ্ন ২৫০ পরিবারের
সেই স্বপ্ন বাস্তব হয়নি মালদার ১৭২ কিলোমিটার সীমান্তে No Mans Land-এর বাসিন্দা ২৫০ পরিবারের
![WB Assembly Election 2021: ভোট দিলেও কাঁটাতারের বেড়া সরবে কবে, প্রশ্ন ২৫০ পরিবারের WB Assembly Election 2021: ভোট দিলেও কাঁটাতারের বেড়া সরবে কবে, প্রশ্ন ২৫০ পরিবারের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/04/25/317859-2.gif)
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েক দশক নিজদেশে পরবাসী। জন্মভূমিতেই বন্দিদশার জীবন। ভোট আসলে মনে আশা জাগে, হয়তো নতুন সরকার তাদের জীবনে মুক্তির স্বাদ এনে দেবে। কিন্তু আজও সেই স্বপ্ন বাস্তব হয়নি মালদার ১৭২ কিলোমিটার সীমান্তে No Mans Land-এর বাসিন্দা ২৫০ পরিবারের।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে বাড়তে পারে লকডাউনের দিন? আর্জি জানাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট
মালদহের(Maldah) হবিবপুর বিধানসভার চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতোরা গ্রামের ছবি এমনই। গ্রাম থেকে তিনশো মিটার হাঁটলেই বুথ। ভোট এবারও দেবেন এখানকার মানুষজন। কিন্তু মূল ভূমির সঙ্গে তাঁদের আলাদা করে রাখা কাঁটাতারের বেড়া উঠছে কই?
তালতোরা গ্রামের বাসিন্দা নিতাই বিশ্বাস বলেন, নিজ ভুমিতে আর কতদিন পরবাসী হয়ে থাকবো। আমাদের একটা হিল্লে করুন। আমাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ আইনের কাঁটাতারে পেঁচিয়ে গিয়েছে। সরকারি প্রকল্পের সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শুধু এই ভোটার ও আধার কার্ডটি আমাদের মান বাঁচিয়ে রেখেছে। সকলেই সন্দেহের চোখে আমাদের দেখে। কোন আত্মীয়ের বাড়ি গেলে সীমান্তে পাহারাদারের অনুমতি নিয়ে পরিচয় পত্র জমা দিয়ে যেতে হয়। সকাল ছয়টা থেকে বিকেল পাঁচ পর্যন্ত সীমান্তের গেট খোলা হয়। আর জরুরি প্রয়োজন, যেমন কেউ অসুস্থ হলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর(BSF) বিশেষ অনুমতি নিয়ে খোলা হয় গেট। শুধু তাই নয় জমির ফসল লুঠ করে নিয়ে চলে যায় বাংলাদেশীরা। কোন আইনি ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। তাই বেঁচে থাকতে ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে হয়।
আরও পড়ুন-কর্নাটকে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩০ হাজার, বেঙ্গালুরুতে ১৭ হাজার
রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস নামে আর এক গ্রামবাসী বলেন, একশোর বেশী ঘর রয়েছে গ্রামে। কৃষিকাজই আমাদের জীবন জীবিকা। কিন্তু স্বাধীনতার সুখ এখনও পাইনি। আমরা ভারতীয়। তবু সন্দেহ করা হয়। মাত্র পাঁচ বছর আগে গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। লাইট জ্বলেছে। এছাড়া কিছুই নেই। বন্দিদশার এমন জীবন থেকে তাঁরা মুক্তি পাব এই আশাতেই ভোট দিই। কিন্তু আজও তা হয় নি। নেতারা আসেন তাদের কথা শোনেন। তবে ভোটের পর আর আসেন না। বৈষ্ণবনগর বিধানসভা ও ইংরেজবাজার বিধানসভা সীমান্তেও এমন গ্রাম রয়েছে। সবার সমস্যাই একইরকম।