Basirhat: পুলিসের ফেলে আসা বোমা! বল ভেবে খেলতে গিয়ে ভয়ংকর বিস্ফোরণ, গুরুতর আহত ২ কিশোর...

Baruipur: বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম দুই ছাত্র। আহত এক ছাত্রকে রাতে নিয়ে আসা হল আরজিকরে।

Updated By: Jan 25, 2025, 10:13 AM IST
Basirhat: পুলিসের ফেলে আসা বোমা! বল ভেবে খেলতে গিয়ে ভয়ংকর বিস্ফোরণ, গুরুতর আহত ২ কিশোর...
প্রতীকী ছবি

প্রসেনজিত্‍ সর্দার: বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম দুই ছাত্র। আহত বছর ১০ ও বছর ১৫ ছাত্র। দুই ছাত্রের আহত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার আড়বেলিয়ার। তাদেরকে উদ্ধার করে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতায় আরজিকরে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

ঘটনাস্থলে বাদুড়িয়া থানার পুলিস দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে জানা যায়, আড়বেলিয়া ইটভাটা এলাকায় বসিরহাট পুলিস জেলার মাটিয়া, স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া থানার ফায়ারিং ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই পুলিসের তরফ থেকে ফেলে আসা দাহ‍্যশীল আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে ছিল। পুলিস ট্রেনিং শেষ হওয়ার পরে সেই মাঠে খেলতে যায় দশ বছরের এক বাচ্চা। সে একটি বস্তুকে হাতে নিয়ে তাঁর বন্ধু বছর ১৫ সাহেব গাজীর কাছে নিয়ে যায়। জিনিসটিকে খতিয়ে দেখার সময় সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন আহত হয়। তাদেরকে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দশ বছরের এক কিশোরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতায় আরজিকরে রাতে নিয়ে আসা হয়।

প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ট্রেনিংয়ের ফেলে দেওয়া সেল এত সহজে কি করে ফেটে গেল? অন্যদিকে পুলিসি গাফিলতির বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। কিভাবে ট্রেনিং শেষে তারা ওই দাহ্যশীল আগ্নেয়াস্ত্র ওই মাঠে ফেলে গেলেন? সমস্ত ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিস।

আরও পড়ুন:Partha Chatterjee: খাচ্ছেন না, অবস্থার আরও অবনতি! পার্থকে নিয়ে চিন্তায় মেডিক্যাল টিম...

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে একটি অঙ্গনওয়াড়ি শিশু কেন্দ্র। ঘটনায় গুরুতর জখম হন অঙ্গনওয়াড়ি শিশু কেন্দ্রের রাঁধুনি সুধা সরদার, অভিভাবিকা গৃহবধূ সারথী সরদার-সহ চার বাচ্চা। স্বর্ণদ্বীপ সরদার(৮ মাস),তানিসা মোল্লা(৪বছর),সুলতানা মোল্লা(৩ বছর),খাদিজা মিস্ত্রী(৪ বছর)। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি তাদেরকে বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর গরাণবোস গ্রাম। সেখানেই রয়েছে ১৬৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি শিশু কেন্দ্র। অভিযোগ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমফানের পর অঙ্গনওয়াড়ি শিশু কেন্দ্রটি ভগ্ন হয়ে পড়ে। সেই থেকেই জরাজীর্ণ অবস্থায় চলছিল। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার কোনও সরঞ্জাম ছিল না। শিশুদের খাদ্য বিক্রি করে কেনা রান্নার সরঞ্জাম কেনা হয়। এছাড়াও কেন্দ্রের মধ্যে সাপ, টিকটিকির উপদ্রব রয়েছে। এমনকি মদের আসরও বসে। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে একাধিক মদের বোতল। একেবারেই অসুরক্ষিত ভাবেই চলছিল এই কেন্দ্র। এমনকি এই কেন্দ্রে কোনও জলের কল নেই, নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা। এমনকি কোনও শৌচালয়ও নেই।

 

 (দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.