Debangshu Bhattacharya: মোদীকেই এবার চন্দ্রযানে চাইছেন দেবাংশু! বিশেষ কারণ জানিয়েই পোস্ট তৃণমূল নেতার
TMC Leader Debangshu Bhattacharya Wants Modi In Chandrayaan-3: তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ফের বিঁধলেন প্রধামন্ত্রীকে। এবার সুকৌশলে তিনি আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদীকে। হাস্যরসকে হাতিয়ার করে।
![Debangshu Bhattacharya: মোদীকেই এবার চন্দ্রযানে চাইছেন দেবাংশু! বিশেষ কারণ জানিয়েই পোস্ট তৃণমূল নেতার Debangshu Bhattacharya: মোদীকেই এবার চন্দ্রযানে চাইছেন দেবাংশু! বিশেষ কারণ জানিয়েই পোস্ট তৃণমূল নেতার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/07/16/429734-modi.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে (Debangshu Bhattacharya) এক ডাকে সকলে চেনেন। তাঁর 'সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্স' ও জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। রাজনৈতিক মতাদর্শে বিপক্ষকে বিঁধতে তিনি একেবারে ওস্তাদ। হাস্যরসকে হাতিয়ার করে সিপিএম-বিজেপি-কে বিদ্রুপ করতে তিনি এক পা এগিয়েই থাকেন। ফেসবুক মাতিয়ে দেওয়ার মন্ত্র দেবাংশুর খুব ভালো ভাবেই জানা আছে। রবিবার দেবাংশু ফের একবার টার্গেট করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Modi)।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-3: তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের দরিদ্র চাষি পরিবারের ছেলে আজ চন্দ্রযানে...
দেবাংশু লিখলেন, 'নরেন্দ্র মোদী দেশ-বিদেশ এত ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন.. চন্দ্রযানে একবার ট্রাই নিলে চাঁদটাও ঘুরে আসতে পারতেন। আপনি ফিরে এলে আমরা জিজ্ঞেস করতাম, পৃথিবী থেকে তো দেখা যায়না; চাঁদ থেকে কী আচ্ছে দিন দেখতে পেলেন?' মোদীর বিদেশ সফর ও 'আচ্ছে দিন' নিয়েই, একেবারে সরস মন্তব্যে দেবাংশু ধুয়ে দিলেন। সম্প্রতি দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সে ছিলেন মোদী। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান লিজ্যয়ঁ দ্য'নর (légion d'honneur) -এ মোদীকে ভূষিত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই সম্মান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এলিসি প্যালেসে নরেন্দ্র মোদীকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। এর আগে মোট ১৩টি দেশ থেকে সেখানকার সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন মোদী।
গত ১৪ জুলাই দেশবাসীর অপেক্ষার প্রহর কেটেছে। গত শুক্রবার দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিটে 'চন্দ্রযান-৩' এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে। ভারতের মহাকাশপ্রযুক্তির দিক থেকে বড় ঘটনা ঘটে গেল। এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণও এই কারণে যে, এর আগের মিশন, 'চন্দ্রযান-২', ব্যর্থ হয়েছে। যে-ব্যর্থতার ক্ষত এখনও দগদগে। ভারতের হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। তৈরি হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। চাঁদে এটি সফ্ট ল্যান্ডিং করবে। এই ল্যান্ডিংটা খুবই জরুরি। কেননা, আগের চন্দ্রাভিযান মিশন 'চন্দ্রযান-২' চাঁদের মাটিতে হার্ড ল্যান্ডিয়ের জন্য ব্যর্থ হয়েছিল। সেই ব্যর্থতা এবার মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারত, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানীর দল। চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগে তাদের মহাকাশযান ধারণকারী পেলোড ফেয়ারিংকে জিওসিঙ্ক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক থ্রি-র সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে 'ইসরো'। ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেটের সঙ্গে পেলোড ফেয়ারিংয়ের জুড়ে দেওয়ার কাজটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারেই করা হয়েছে। 'ইসরো'-প্রধান এস সোমনাথ আগেই জানিয়েছিলেন, ১২ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই দিনগুলিই উৎক্ষেপণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ, 'অরবিটাল ডায়নামিকস' অনুসারে, চাঁদে পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে চন্দ্রযানটির এই সময়েই সবচেয়ে কম জ্বালানি (মিনিমাল ফুয়েল) লাগবে এবং এর কর্মক্ষমতাও এই সময়ে চূড়ান্ত (হায়ার এফিসিয়েন্সি) থাকবে।
এই প্রকল্প নিয়ে 'ইসরো' খুবই আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত। তারা জানিয়েছে, লুনার সারফেসে বা চাঁদের মাটিতে ঘোরার সময়ে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের ভূ-প্রকৃতি ও তার পরিবেশ নিয়ে 'ইন-সিটু কেমিক্যাল অ্যানালিসিস' চালাবে। এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু-অঞ্চলেই মূলত ঘোরাফেরা করবে। চন্দ্রযান-৩-এর তিনটি অংশ-- প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার, রোভার। প্রোপালশন মডিউলটি চাঁদের কক্ষপথের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এসে ল্যান্ডার ও রোভারকে ঠেলে দেবে। এর পরের মূল দায়িত্ব ল্যান্ডারের উপরই। তার কাজ রোভারটিকে চাঁদের পিঠে সফ্ট ল্যান্ডিং করানো। একবার সফল ভাবে সফ্ট ল্যান্ডিং হয়ে গেলেই তখন এই অভিযানের সমস্ত দায়িত্বভার একার কাঁধে তুলে নেবে রোভার। সে শুরু করে দেবে তার গবেষণা-- মাটি পরীক্ষা, খনিজনমুনা সংগ্রহ, চাঁদের মাটির তাপ ও ভৌত-রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণ ইত্যাদি। আর এই চন্দ্রযান-৩-এর মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে রোভার নামিয়ে চাঁদ-চর্চা শুরু করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মহাকাশচর্চার ক্ষেত্রে রেকর্ড করে ফেলবে ভারত। কেননা, জটিল কঠিন ও বিরল এই কাজটি সুষ্ঠু ভাবে করার ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হতে চলেছে সে।
আরও পড়ুন: Bardhaman: বর্ধমান স্টেশনের লাগেজ স্ক্যানারে আটকে গেল বাচ্চার হাত, তারপর...