Halisahar: মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ওসি বদল; ফের পরপর চুরি বীজপুরে, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা
গত সপ্তাহে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এনিয়ে কথা উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাতারাতি বদল করা হয় বীজপুর থানার ওসি-সহ তিন পুলিস কর্মীকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েকদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে হালিশহর-সহ বীজপুর থানা এলাকায় চুরি-সহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরই বদল করা হয় বীজপুর থানার ওসি-সহ ৩ পুলিস কর্মীকে। তার পরেও কমছে না চোরের উপদ্রব।
মঙ্গলবার রাতে ফের চুরির ঘটনা ঘটল হালিশহরের জেটিয়া বাজারে। সেখানে এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীর দোকান ভেঙে দেড় লাখ টাকার মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেয় চোর। দিন কয়েক আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী রবি দাসের অফিসের তালা ভেঙে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি যায়। এর আগেও গত কয়েক মাসে বহুবার চুরি হয়েছে। সবমিলিয়ে কাঁচড়াপাড়া ও হালিশহরে চোরের উপদ্রব কমাতে পারছে না বীজপুর পুলিস।
গত সপ্তাহে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এনিয়ে কথা উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাতারাতি বদল করা হয় বীজপুর থানার ওসি-সহ তিন পুলিস কর্মীকে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। চোরের আতঙ্কে এখন আতঙ্কিত বীজপুরের বহু এলাকার ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন-Alipurduar: ভয়ঙ্কর! স্কুলের পথে দা-এর এক কোপে নাবালিকার গলা কেটে দিল যুবক
পুলিস সূত্রে খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চোর আসছে বাইরের জেলা থেকে। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় কাজ হাসিল করে নিজের জেলায় তাদের ফিরে যাওয়ার সহজ হচ্ছে। নদিয়া থেকে ট্রেনে চেপে দিনের বেলাতেই ঢুকে পড়ছে চোরের দল।ভোর হলেই প্রথম ট্রেনেই চুরির কাজ সেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে তারা। এদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এলাকার দুষ্কৃতীদের। এনিয়ে অন্য জেলার থানা থেকেও সতর্ক করা হয়েছিল।
এদিকে, চুবির ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ বীজপুর থানার পুলিস। বিভিন্ন ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের দফায় দফায় জেরা করে আরও কিছু লোকের নাম পেয়েছে পুলিস। এছাড়াও তাদের টিপারদেরও খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।