SSC Scam | Jiban Krishna Saha: জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার নথি, পাওয়া গেল চাকরির জন্য নির্দিষ্ট রেটচার্ট
২০১৬ সালের নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে জীবনকে। কিন্তু তার বাড়ি থেকে যে বিপুল পরিমাণ নথি মিলেছে তা থেকে স্পষ্ট শুধু নবম দশম নয়, প্রাইমারি থেকে একাদশ দ্বাদশ সব ক্ষেত্রেই টাকা তুলেছেন জীবন। নিজেও আগে স্কুল শিক্ষক ছিলেন জীবন। প্রথমে প্রাথমিকে এবং পরে উচ্চ বিদ্যালয়র শিক্ষকতা করেন। ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে জীবনের কলেজ জীবন থেকে রাজনীতির শুরু।
![SSC Scam | Jiban Krishna Saha: জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার নথি, পাওয়া গেল চাকরির জন্য নির্দিষ্ট রেটচার্ট SSC Scam | Jiban Krishna Saha: জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার নথি, পাওয়া গেল চাকরির জন্য নির্দিষ্ট রেটচার্ট](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/04/17/416404-jiban-saha.png)
পিয়ালি মিত্র: বড়ঞা বিধায়ক জীবনকষ্ণ সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে মেলে পাঁচ জেলার চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। যার মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড সহ ছবি প্রতিলিপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রতিলিপি সহ মিলেছে কয়েক কোটি টাকার অঙ্কের হিসেব।
২০১৬ সালের নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে জীবনকে। কিন্তু তার বাড়ি থেকে যে বিপুল পরিমাণ নথি মিলেছে তা থেকে স্পষ্ট শুধু নবম দশম নয়, প্রাইমারি থেকে একাদশ দ্বাদশ সব ক্ষেত্রেই টাকা তুলেছেন জীবন।
আর জীবনের এই চাকরির জন্য নির্দিষ্ট ছিল রেট। সূত্রের খবর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য মাথা পিছু দর ধার্য ছিল ২০-২২ লক্ষ টাকা। নবম ও দশম শ্রেণির জন্য মাথা পিছু নেওয়া হয়েছে ১৫-১৭ লক্ষ টাকা।
গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি এর ক্ষেত্রে দর ছিল ১০ ও ৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষক পদে দর ছিল ১০-১২ লক্ষ টাকা।
সিবিআইয়ের হাতে ধৃত কৌশিক ঘোষের মতো এজেন্টদের মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা পৌঁছত জীবনের হাতে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রিতে জড়িত এই বিধায়ক।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: সোমবার থেকে আরও একটু বাড়বে তাপমাত্রা, রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা
নিজেও আগে স্কুল শিক্ষক ছিলেন জীবন। প্রথমে প্রাথমিকে এবং পরে উচ্চ বিদ্যালয়র শিক্ষকতা করেন। ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে জীবনের কলেজ জীবন থেকে রাজনীতির শুরু। পরে তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ারও পর নিজে স্কুলের চাকরি ছেলেকে দেন। তবে তাঁর স্ত্রী সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন নিকট আত্মীয় প্রাথমিকে চাকরি করেন। সেই চাকরিও প্রভাব খাটিয়ে করা বলেই অনুমান তদন্ততারীদের।
জীবনের বাবার নামে আলুর কোল্ড স্টোরেজ, চালের ডিস্ট্রিবিউটারশিপ সহ আরও বেশ কিছু ব্যবসা রয়েছে। জীবনের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তির নথি। বীরভূমেও সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত এই জীবনকৃষ্ণ সাহা।