Jalpaiguri Municipal Election: টাকার লোভ দেখিয়ে ভোট প্রচার তৃণমূলের! নির্বাচন কমিশনে বিজেপি
গত কয়েকদিন ধরে ১ নং ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করা নিয়ে জলপাইগুড়িতে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে
![Jalpaiguri Municipal Election: টাকার লোভ দেখিয়ে ভোট প্রচার তৃণমূলের! নির্বাচন কমিশনে বিজেপি Jalpaiguri Municipal Election: টাকার লোভ দেখিয়ে ভোট প্রচার তৃণমূলের! নির্বাচন কমিশনে বিজেপি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/02/14/364892-3.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরভোটে টাকার লোভ দেখিয়ে ভোট চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। জলপাইগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান সৈকত চট্টাপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুলল বিজেপি। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথাও জানাল গেরুয়া শিবির।
কী বলেছিলেন সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়? জলপাইগুড়ি পুরসভার(Jalpaiguri Municipality) ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন নীলম শর্মা। তাঁর হয়ে প্রচারে গিয়ে সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'অধিকাংশ জায়গাতেই প্রচারে গিয়ে মানুষের বিপুল সাড়া পেয়েছি। ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। গত ৫ বছরে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার কাজ করেছি। নীলম শর্মা(Neelam Sharma) এখান থেকে জয়ী হয়ে আসার পর আগামী ৫ বছর এই ওয়ার্ডে অন্তত ১৫ কোটি টাকার কাজ হবে। সিপিএম-বিজেপি বা অন্য কেউ জিতলে তাদের পক্ষে ১ টাকাও আনা সম্ভব নয়। বা একটা কাজও করা সম্ভব নয়। এটা পাড়ার ভোট। সেখানে রাস্তা হবে কিনা, আলো আসবে কিনা তার দায় আমি নিচ্ছি।'
আরও পড়ুন-জয়ের পর সোজা অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ সব্যসাচীর, সৌজন্য বিনিময় দুই নেতার
সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়ের(Saikat Chatterjee) ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এনিয়ে বিজেপির জেলা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ বলেন, 'জলপাইগুড়ির এক ফুচকা নেতা জলপাইগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে নাকি প্রচার করেছেন তিনি ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ কোটি টাকা খরচ করেছেন। আর ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীকে যদি জেতানো যায় তাহলে তিনি এত এত টাকা খরচ করবেন। আমাদের একটাই কথা, সাধারণ মানুষকে আর এভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বোকা বানাতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। আর ভোট ঘোষণা হওয়ার পর টাকার কথা বলে ভোট প্রচার করা বা টাকা প্রলোভন দেখিয়ে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আগামিকাল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব। ওই ফুচকা নেতাকে বুঝিয়ে দেব জলপাইগুড়ি একটা শান্তিপূর্ণ জায়গা। সেখান যা খুশি বলা যায় না। করা যায় না'
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ১ নং ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করা নিয়ে জলপাইগুড়িতে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে। বিষয়টি হাইকোর্ট অবধি গড়িয়েছে। ঘটনায় ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। সোমবার হাইকোর্টে এনিয়ে ফের শুনানি হবে। এরমধ্যেই তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যে ফের অস্বস্তিতে পড়ল দল।