মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইকের দাপট, তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিএমের জয়ী প্রার্থী
রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা নিউগেলেঙ্ক চা বাগানের ২০/১০১ পার্টর সিপিএম-এর এক মাত্র জয়ী প্রার্থী জিনিথ এক্কা, তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করে দিলেন। এর ফলে রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েত ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল দখলে এল ১৫টি আসন।


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের দাপট দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। মাল ব্লকের চা বাগান অধ্যুষিত রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের পর ত্রিসঙ্কু অবস্থাই ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৪টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ১৩টি আসন। এবং সিপিআইএম-এর একটি আসনের সঙ্গে এবং নির্দলের কাছে ছিল দুটি আসন। ফলে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে দাবি জানায় উভয় তৃণমূল ও বিজেপি। তবে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক।
বাম থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে জিনিথ এক্কা বলেন, "আমাদের চা বাগান ও গ্রামের উন্নয়নের জন্য তৃণমূলেকে সমর্থন করছি। এমন সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে কেউ চাপ দেননি। আমি আমার এলাকার উন্নয়ন এর জন্য তৃণমূলে চলে এলাম।"
আরও পড়ুন: Howrah: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায়, HIV আক্রান্ত দম্পতির সরকারি প্রকল্পের 'খাবার বন্ধ'!
গোটা ব্যাপারটার সঙ্গে লুচিক বড়াইকের মস্তিস্ক যুক্ত থাকলেও তিনি মন্তব্য করতে চাননি। তবে রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রধান তথা মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইকের ছেলে অশোক চিক বড়াইক বলেন, "সাংবাদিক বৈঠকেই সিপিএম-এর প্রার্থী জিনিথ এক্কা তৃণমূলকে সমর্থন করেছে। তবে শুধু সিপিএম নয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অন্যান্যরাও আমাদের সমর্থন করবে। তাই আমরাই আবার রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করব। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।"
কারণ রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা নিউগেলেঙ্ক চা বাগানের ২০/১০১ পার্টর সিপিএম-এর এক মাত্র জয়ী প্রার্থী জিনিথ এক্কা, তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করে দিলেন। এর ফলে রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েত ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল দখলে এল ১৫টি আসন। অন্যদিকে সিপিএম শূন্য হয়ে যাওয়ার পর, বিজেপি ১৩টি ও নির্দলের কাছে দুটি আসন রয়ে গেল। ফলে তৃণমূলের বোর্ড গঠন করতে আর কোনও বাধা রইল না।