Howrah Sanskrita Sahitya Samaj: হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজে শুরু ১৫ শতকের প্রাচীন পুঁথির ডিজিটাইজেশনের কাজ...
Digitization of Old Hand-written Manuscript: ছয় হাজার পুঁথি স্থান পেয়েছে এই সংগ্রহশালায়। এর মধ্যে অনেকগুলিই পনেরো শতকের। এগুলির ভবিষ্যতের কথা ভেবে এসব পুঁথির ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হল। পুঁথি নিয়ে তৈরি হবে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল লাইব্রেরি।
![Howrah Sanskrita Sahitya Samaj: হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজে শুরু ১৫ শতকের প্রাচীন পুঁথির ডিজিটাইজেশনের কাজ... Howrah Sanskrita Sahitya Samaj: হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজে শুরু ১৫ শতকের প্রাচীন পুঁথির ডিজিটাইজেশনের কাজ...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2024/07/23/484552-poonthi.png)
দেবব্রত ঘোষ: ছয় হাজার পুঁথি স্থান পেয়েছে এই সংগ্রহশালায়। এর মধ্যে অনেকগুলিই পনেরো শতকের। এগুলির ভবিষ্যতের কথা ভেবে এসব পুঁথির ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হল। পুঁথি নিয়ে তৈরি হবে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল লাইব্রেরি। কোথায়? হাওড়ায়। 'হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজ' খুবই প্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী এক প্রতিষ্ঠান। যা হাওড়া শহর তথা জেলার গর্ব।
আরও পড়ুন: Supreme Court on NEET: বহু প্রতীক্ষিত! সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ফের NEET নেওয়ার কোনও দরকার নেই...
হাওড়ার পি ১৪ হরেন্দ্রনাথ ঘোষ সরণি। হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজ-এর ঠিকানা। ১৯৩৭ সালে এর প্রতিষ্ঠা। গ্রন্থাগার দিয়ে পথচলা শুরু। এরপর শুরু প্রাচীন দুর্মূল্য ও অমূল্য় সব পুঁথি সংগ্রহের কঠিন কাজ।
আর এই ভাবে হাওড়ার বিভিন্ন পণ্ডিতদের লেখা প্রায় ছয় হাজার পুঁথি স্থান পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহশালায়। যেসব পুঁথির মধ্যে পনেরো শতক বা তার-ও পরের সময়কালে লেখাও রয়েছে! ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানেই এগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে এখানে।
তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সমস্ত পুঁথির এবার ডিজিটাইজেশন করা হবে। সেই কাজ শুরু করেছে হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজ। কলকাতার ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সাহায্যে এই কাজ হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ হলে গবেষকদের কাজের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজের সম্পাদক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, এখানে বহু পুঁথি রয়েছে, যেগুলি এখনও অমুদ্রিত। রামায়ণ-মহাভারতের উপর লেখা পুঁথি যেমন রয়েছে, তেমনই পুরাণ, দর্শন ও ব্যকরণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা পুঁথিও রয়েছে। দেশ বিদেশের গবেষকরা এখানে আসেন। গবেষণার কাজ করেন। কিন্তু হাতে-হাতে ব্যবহার করলে এগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এগুলির ডিজিটাইজেশন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ডঃ সুমন্ত রুদ্র বলেন, প্রাচীন এই পুঁথিগুলিতে যা রয়েছে, তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাজ চলছে। এইসব প্রাচীন পুঁথি যা ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে, সেগুলি নিয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরি বানানো হবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)