‘মুখ্যমন্ত্রী কতদিন লুকিয়ে রাখবেন, এভাবে চললে রাজ্যে ভয়ঙ্কর আকার ধারন করবে করোনা’
দিলীপবাবু আরও বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই লকডাউনের কথা কে শুনবে! তাই পুরো পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হাট বসে গিয়েছে।
![‘মুখ্যমন্ত্রী কতদিন লুকিয়ে রাখবেন, এভাবে চললে রাজ্যে ভয়ঙ্কর আকার ধারন করবে করোনা’ ‘মুখ্যমন্ত্রী কতদিন লুকিয়ে রাখবেন, এভাবে চললে রাজ্যে ভয়ঙ্কর আকার ধারন করবে করোনা’](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/04/22/245620-5.gif)
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এখনই যদি সতর্ক হওয়া না যায় তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন-লঘু হচ্ছে লকডাউন? আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফের বৈঠক মোদীর
বুধবার তিনি বলেন, উনি দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি রাস্তায় নেমে লকডাউন ভেঙ্গেছেন। ভারতের কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখবেন না এভাবে লকডাউন ভাঙতে। চাপরাশি, বেয়ারা, ক্লার্করা যা করে সেটা মুখ্যমন্ত্রী করছেন। যোগী আদিত্যনাথের পিতৃবিয়োগ হয়েছে। উনি অন্তেষ্টিতে। উনি লকডাউন ভাঙতে চাননি। কারণ উনি লকডাউনে লোককে বাড়িতে থাকতে বলেছেন। উনি কীভাবে বাইরে বের হবেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে মাস্ক বিতরণ করেছেন, রাস্তায় গন্ডি কেটে দিচ্ছেন। কেবল রাজনীতি করছেন। এই করতে গিয়ে পুরো প্রশাসনটা জলাঞ্জলী গিয়েছে। রেশন নেই। মানুষ হাহাকার করছে।ডাক্তারবাবুরা ভয় পাচ্ছেন। ডাক্তারবাবারা ভেন্টিলেশনে চলে যাচ্ছেন। একাধিক ডাক্তার অসুস্থ। নার্স অসুস্থ। আর কি বাকী আছে। এত চাপা দেওয়া সত্বেও রাখতে পারছেন না। যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, এখনও যদি সতর্ক না হন তাহলে আমাদের কপালে খুব কষ্ট আছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।
আরও পড়ুন-করোনা মোকাবিলায় মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিল গেটস
দিলীপবাবু আরও বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই লকডাউনের কথা কে শুনবে! তাই পুরো পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হাট বসে গিয়েছে। যে যা ইচ্ছে করছে। করোনা এখন মহামারীর রূপ নিয়েছে। কতদিন লুকিয়ে রাখবেন জানিনা। সপাহ খানেকের মধ্যে এখানে মহামারী সামনে আসবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব কোন সময় ঠিক কথা বলছেন না। উনি মনে রাখবেন, উনি কেন্দ্রীয় ক্যাডারের লোক। উনি কি রাজিব কুমারে জুতোয় পা গলিয়েছেন? কেন্দ্রীয় দলকে বোধহয় ভেবেছিলেন বিমানবন্দরে আটকে রাখবে। তা পারে নি। তাই এখন কোথাও যেতে দিচ্ছে না।