মালদা, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের SP-দের তিরস্কার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের
শুক্রবার গ্ৰ্যান্ড হোটেলে সব জেলার জেলাশাসক, পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা ও ফুল বেঞ্চ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার পুলিশ কমিশনার মিটিং-এ না আসায় বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। কমিশনারের রোষের মুখে মালদা, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিস সুপার। কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয় এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মাকেও।
শুক্রবার গ্ৰ্যান্ড হোটেলে সব জেলার জেলাশাসক, পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা ও ফুল বেঞ্চ। বৈঠকে সকলেই উপস্থিত থাকলে, ছিলেন না কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার। তাতেই চটে যান সুনীল আরোরা।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে বেশ কয়েকজন জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে ব্যাপক সমালোচনা এর মুখে পড়তে হয়। সবাইকে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট আনতে বলা হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ভর্তসনার মুখে পড়তে হয় মালদার পুলিস সুপারকে। তাঁর কাছ থেকে জালনোটের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে মালদার পুলিস কমিশনারকে কমিশনার প্রশ্ন করেন, “জালনোটের বিষয়ে উল্লেখ নেই কেন? আপনার জেলায় গ্রেফতারির সংখ্যা এত কম কেন?”
অতিরিক্ত টাকা দিয়েই দেখতে হবে পে চ্যানেল, ট্রাইয়ের বিজ্ঞপ্তি কার্যকর আজ রাত থেকেই
ভর্তসনার মুখে পড়েন হুগলির পুলিশ সুপারও। তাঁকে কমিশনার প্রশ্ন করেন, “অস্ত্র এত কম কেন উদ্ধার হয়েছে?”
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কড়া ভাষায় কথা বলেন কমিশনার। তাঁকে প্রশ্ন করেন, “স্পর্শকাতর এলাকা এত কম কেন দেখিয়েছেন?” সীমান্ত দিয়ে মদ ও অন্য সামগ্ৰী ঢুকছে বলে দার্জিলিং ও কোচবিহারের পুলিশ সুপারদের সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন- কলকাতা মেট্রোয় ফের আগুন আতঙ্ক, ধোঁয়ায় অসুস্থ ৩ যাত্রী
এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মাকে কমিশনার বলেন, “আপনার রিপোর্টে এনবিডব্লুউ-এর তথ্য সঠিক নয়।” তিন দিনের মধ্যে তাঁকে সঠিক তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, NBW- অর্থাত্ জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা করা হচ্ছে না বলে অনুজ শর্মাকে ৩ দিনের মধ্যে সঠিক তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।