Chemical Wastes: বিষাক্ত রাসায়নিকের স্রোতে ডুবছে গোটা গ্রাম! জমি নষ্ট, পানীয়জল দূষিত, ছড়াচ্ছে চর্মরোগও! প্রতিকার নেই?
Chemical Wastes: দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকার মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। এই এলাকার পুকুর-ডোবা-মাঠ লাল বিষাক্ত জলে ভরে থাকে সবসময়। তার সঙ্গে থাকে জলের কটু গন্ধ। অতিষ্ঠ মানুষ।
শুভাশিস মণ্ডল: উলুবেড়িয়ার জোয়ারগোড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমড়াবেড়িয়া গ্রাম। উলুবেড়িয়া শিল্পাঞ্চল এলাকার মাঝে এই গ্রামটি ৷ এই গ্রামের দীর্ঘ দিনের সমস্যা এলাকার পুকুর-ডোবা-মাঠ সব রাসায়নিক মিশ্রিত বিষাক্ত জলে ভরে উঠছে ৷ পানীয় জলও খাবার উপযুক্ত নয়। বারবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।
এই সমস্যা আজ নতুন নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকার মানুষ এই সমস্যায় ভুগে চলেছেন। এই এলাকার পুকুর-ডোবা-মাঠ লাল বিষাক্ত জলে ভরে থাকে সবসময়। তার সঙ্গে থাকে জলের কটু গন্ধ। শিশুরা এই জলের কবলে পড়ে অসুস্থ হয়। বিষাক্ত জলের কবলে পড়ে গ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গ্রামের মানুষ বহুবার ওই এলাকার শিল্পাঞ্চল কারখানায় গিয়ে বিক্ষোভ জানিয়েছেন, কিন্তু তাঁদের দাবি, কোনও সুরাহা হয়নি। পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসন-- সব জায়গাতেই জানানো হলেও কোনও সমাধান হয়নি। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় সময় বিষাক্ত কেমিক্যাল ভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে বিষাক্ত কিছু কেমিক্যাল ফেলে দিয়ে যায়। এই কেমিকাল ও শিল্পাঞ্চলের জল দুই মিলে এলাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। একদিকে চাষাবাদ হয় না এলাকায়, অন্য দিকে, ওই বিষাক্ত জলের কবলে পড়ে চর্মরোগ প্রতিনিয়ত লেগেই রয়েছে ওই গ্রামের মানুষের হাতে-পায়ে। গ্রামের যে পানীয় জল, সেটাও লাল রঙের, ফলে তাও খাবার উপযুক্ত নয়। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের এই সমস্যা দেখার কেউ নেই। চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
কয়েকদিন আগেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্যাঙ্কার কেমিক্যাল ফেলার সময় এলাকার মানুষ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং ট্যাঙ্কারটিকে আটকে দেয়। পরে গাড়িটিকে উলুবেড়িয়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। কী কেমিক্যাল ফেলা হচ্ছিল? কেন জাতীয় সড়কের ধারে তা ফেলা হচ্ছিল? শিল্পাঞ্চল থেকেই নিয়ে এসে ফেলা হচ্ছিল কি না-- এসবও পরিষ্কার নয়। চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Updates: রবিসকাল থেকেই কি শীতে পাকাপাকি ছেদ? বৃষ্টি আর গরমে কি নাজেহাল হতে হবে?
জোয়ারগোড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানান, তার কাছে লিখিত কোন অভিযোগ নেই বিষয়টি তিনি শুনেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন৷ যদিও ট্যাঙ্কার ধরার বিষয়টি তিনি দেখবেন কিন্তু এলাকার গ্রামের যে এই বহুদিনের সমস্যা, সেই বিষয়ে খোলসা করে তিনি কিছু বলতে চাইনি। শিল্পাঞ্চলের মাঝে পড়ে থাকা ছোট্ট এই গ্রামের সমস্যার কথা শুনে তার সমাধান করার সময় আর কবে আসবে এই প্রশ্নটাই রইলো
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)