Arabul Islam | Shaukat Mulla: "ফুঁ দিলে উড়ে যাবে, কোন মায়ের ছেলে... ভাঙড় কি বাপের সম্পত্তি", আরাবুল-শওকত বাকযুদ্ধ!
বিরোধী আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে আগুন লেগেছে। আগে ওনারা ঘরটা সামলাক।
প্রসেনজিত্ সরদার: "ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম যদি ফুঁ দেয়, খালের ধারে যে কটা মাল নেতা বসবাস করে, উড়ে চলে যাবে। তাই বড় বড় কথা বলার দরকার নেই। এরা অস্তিত্বহীন মানুষ। ভাঙড়ে রোলার চালিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হওয়া যাবে না। ভাঙড়ের মানুষকে সার্ভিস দিতে হবে। উন্নয়নের পথ দেখাতে হবে। পরিষেবা দিতে হবে। " এমনই হুঁশিয়ারির সুরে বললেন আরাবুল ইসলাম। আর আর শওকত মোল্লার নাম না করে তিনি বলেন, "কোন মায়ের ছেলে সেটা ভাঙড়ের মানুষও বোধহয় জানে না।" অন্যদিকে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে আরাবুল ইসলামের নাম না করে শওকত মোল্লা আবার বলেন, "ভাঙড়ের উন্নয়ন কি তিনি একা করেছেন ? ভাঙড় কি তার বাপের সম্পত্তি নাকি? যখন যেটা মনে করবেন তখন সেটা বলবেন। এই বাপের সম্পত্তিটা ছেড়ে দাও। রাজনীতিতে এসব কিছু চলে না। এটা তোমার মাথায় রাখতে হবে।"
ভাঙড়ের আরও এক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও বনভূমির কর্মদক্ষ খাইরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষের কাজ করার জন্য আরাবুল ইসলাম মোটেই ভাঙড়ে আসেননি। তোলা তোলার জন্য এসেছেন। এখন এসে বুঝে গেছে যে ভাঙড়ে আর বেশি সুবিধা হবে না। সাধারণ মানুষ আর তোলা দেবে না। তোলা তোলার জায়গা নেই। তাই অন্য জায়গা খুঁজে যাচ্ছে তোলা তোলার জন্য। বারে বারে কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে। ভাঙড়ের বিডিও সাহেবকে তিনি জানিয়েছিলেন যে আরাবুল ইসলামের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির একটা ঘর দেওয়ার জন্য। কারণ যেহেতু কোর্টের রায়ে তিনি এখনও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আছেন। তবে দলের সভাপতি নন। ২২ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিলে আরাবুল ইসলামকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করার চক্রান্ত করেছিলেন আরাবুল। এর জন্য তিনি কয়েক মাস জেল খেটেছেন। পাশাপাশি তাঁর বিভিন্ন কার্যকলাপ দেখে ভাঙড়ের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সহ-সভাপতিকে তাঁরা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু আরবুল ইসলাম কোর্টের মাধ্যমে সেই সভাপতি পদ ফের ফিরে পেয়েছেন। এখন তোলা তোলার জন্য সেই পদ ধরে রাখতে বারে বারে কোর্টে ছুটছেন।
এখন ভাঙড়ে যখন তৃণমূলে মুষল পর্ব চলছে, তখন উলটোদিকে তার ফায়দা লুঠতে ব্যস্ত বিরোধীরা। বিরোধী আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে আগুন লেগেছে। আগে ওনারা ঘরটা সামলাক। তারপরে আইএসএফের সাথে ওনারা লড়ে নেবেন। আইএসএফ সর্বদা প্রস্তুত আছে। ছাব্বিশের আগে ১ ইঞ্চি ভাঙড়ের মাটি তাঁরা ছাড়বেন না। ছাব্বিশে ভাঙড়ে তাঁরাই ব্যাপক ভোটে জিতছে! তাই শওকত মোল্লা সব অন্য নেতাদের কথায় আইএসএফ কর্মীরা ভয় পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক তরজা চরমে। আর তাই পঞ্চায়েত ভোটের থেকেও ভাঙড়ে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে আরও অশান্তি হতে পারে বলে প্রমাদ গুনছে ভাঙড়ের সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন, Baruipur: নাগরদোলনায় উঠে সেলফি, চলাকালীন রিলস শ্যুট! পরিণতিতে এক কিশোরী ও মহিলা...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)