Burdwan: প্রকৃতির কোলে কৃত্রিম অরণ্য পার্ক! মাত্র ত্রিশ টাকায় স্বর্গ দর্শন...

Burdwan: অরণ্য পার্কে আনন্দ করার জন্য নানান উপকরণ রয়েছে। যদি নৌকাবিহার করতে চান। তাহলে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য আপনার ভাড়া পড়বে মাত্র ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। একপ্রকার মনোরম পরিবেশে আপনার দিন কাটবে। 

Updated By: Jan 14, 2025, 03:24 PM IST
Burdwan: প্রকৃতির কোলে কৃত্রিম অরণ্য পার্ক! মাত্র ত্রিশ টাকায় স্বর্গ দর্শন...

পার্থ চৌধুরী: এক টুকরো শান্তি চান? বাউল গানের সুরে ভাসতে চান ঝিলের বুকে? নাকি গাছপালার সান্নিধ্যে দিন কাটাতে চান। চলে আসুন পূর্ব বর্ধমানের তৈরি করা মিনি নেচার পার্ক অরণ্যে। শহরের কোলাহলে বন্দী  জীবন থেকে  মুক্তি চাইছেন? ছুটে যেতে চান সবকিছু থেকে দূরে, প্রকৃতির আলিঙ্গনে নিজেকে শান্ত করতে? কলকাতা থেকে  কাছেই এমন এক মায়াবী ঠিকানা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য — অরণ্য পার্ক যার নাম। যেখানে একদিনেই ভরপুর আনন্দ আর প্রকৃতির নিবিড় প্রশান্তির স্বাদ পাবেন। চলুন, জানি কীভাবে সেখানে যাবেন, কী দেখতে পাবেন।

আরও পড়ুন: বরযাত্রী বাসে লুটপাট চালিয়ে তেলঙ্গানায় লুকিয়ে ছিল ২ কিং পিন, ধরে আনল বিষ্ণুপুর থানার পুলিস

কোথায় পাবেন এই নির্জন স্বর্গ?
বর্ধমান শহর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অরণ্য পার্ক। বর্ধমান স্টেশন থেকে টোটো নিয়ে সরাসরি এখানে পৌঁছানো যায়। ভাড়া পড়বে মাত্র ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা। বাসে এলে বাঁকুড়া মোড় বা দইচাঁদা স্টপেজে নামতে হবে, সেখান থেকে সামান্য পথ টোটোয় পাড়ি দিলেই আপনি পৌঁছে যাবেন প্রকৃতির  কোলে। বাইশ বিঘার মুক্তাঞ্চলে। অরণ্য পার্কে একদিন কাটানোর জন্য মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে সুস্বাদু খাবারের প্যাকেজ রেখেছেন ওঁরা। যদি দিন শেষে ফিরতে না চান, তবে রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত  ভাড়া মাত্র ১০০০ টাকা। আর রাতে থাকতে চাইলে অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে, মোট খরচ ১২০০ টাকা।

অরণ্য পার্কে আনন্দের আরো নানা উপকরণ আছে। নৌকাবিহার করতে চাইলে ৩০ মিনিটের জন্য ভাড়া পড়বে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। সঙ্গে চাইলে বাউল গানের সুরের মূর্ছনাও উপভোগ করতে পারেন, যা পেতে আপনাকে মাত্র ৩০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।  আনন্দে মন ভরে উঠবে প্রকৃতির সুরেলা ছোঁয়ায়। এ যেন সস্তার কাশ্মীরি শিকারা। ২৬ বিঘা জায়গার উপর গড়ে ওঠা এই পার্কে জন্মদিনের পার্টি থেকে শুরু করে পারিবারিক পিকনিক — আয়োজন করা হয় ইদানিং। এখানে ছোটদের জন্য রয়েছে খেলার জায়গা, বড়দের জন্য ছায়াময় বসার জায়গা, আর সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের জন্য সুন্দর রেস্টুরেন্ট। নৌকাতে বসেও লাঞ্চ করা যায়। গ্রামীণ পরিবেশের মাধুর্য আর প্রশান্তি এখানে ছুটি কাটানোর প্রতিটি মুহূর্তকে অনন্য করে তুলবে।

আরও পড়ুন: এখনওপর্যন্ত ৫৫ লাখ মানুষের সমাগম, মকরস্নানে গঙ্গাসাগরে উপচেপড়া ভিড় পুণ্যার্থীদের

যে তরুণ শিল্পোদ্যোগীর ভাবনা এটা, সেই পারভেজউদ্দিন জানান, ' আমি ঘুরতে ভালবাসি। তাই মাথায় আসে শহরের কাছে  এক টুকরো প্রকৃতির স্বাদ চাই। তাই সবটা নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। শান্তিনিকেতনে যাতায়াতের পথেও এখানে আসেন অনেকে। তিনি জানান, প্যাকেজ নয়, এমনি ঘুরতে আসার ফি খুব সামান্য। মাত্র ত্রিশ টাকা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.