Diamond Model: ডায়মন্ড মডেলের বড় সাফল্য, এক সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার নামল ২.৭৮ শতাংশে
মিটিং-মিছিল বন্ধ, ডক্টরস অন হুইলস(Doctors On Wheels), ব্যাপক টেস্ট,চিকিত্সা পদ্ধতিতে এগিয়েছে ডায়মন্ডহারবার মডেল
![Diamond Model: ডায়মন্ড মডেলের বড় সাফল্য, এক সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার নামল ২.৭৮ শতাংশে Diamond Model: ডায়মন্ড মডেলের বড় সাফল্য, এক সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার নামল ২.৭৮ শতাংশে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/01/24/362469-8.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরুতেই প্রশংসা-সমালোচনা দুটোই জোরাল ভাবে উঠেছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) সেই ডায়মন্ডহারবার মডেল বা ডায়মন্ড মডেল প্রয়োগ করে সাফল্য মিলল হাতেনাতে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডায়মন্ডহারবার মডেল(Diamond Harbour Model) প্রয়োগ করে এক সপ্তাহেই এল উল্লেখযোগ্য সাফল্য। টেস্ট, ট্রেস ও ট্রিট পদ্ধতিতে এগিয়ে মাত্র এক সপ্তাহে জেলায় সংক্রমণের হার কমে হল ২.৭৮ শতাংশ। অন্যদিকে, ডায়মন্ডহারবারে সংক্রমণের হার নামল ০.৭৯ শতাংশে।
রাজ্য শুধু নয় গোটা দেশেই গুরুত্ব পাচ্ছে ডায়মন্ডহারবার মডেল। এই মডেল প্রয়োগ করে কতটা ফল পেয়েছে তা একটা পরিসংখ্য়ান দিলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। গত ১১ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনা পজিটিভিটি রেট(Covid Positivity Rate) ছিল ৩০ শতাংশ। ডায়মন্ডহারবার মডেল ব্যবহার করে জেলায় সেই হার এই মুহূর্তে হয়েছে ২.৭৮ শতাংশ নেমে এসেছে। আর ডায়মন্ডহারবারে তা নেমে হয়েছে ০.৭৯ শতাংশে। এটি ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট থেকে শুরু করে, ডেথ রেট সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও তা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
আরও পড়ুন-রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৫ হাজারের নীচে
মিটিং-মিছিল বন্ধ, ডক্টরস অন হুইলস(Doctors On Wheels), ব্যাপক টেস্ট,চিকিত্সা পদ্ধতিতে এগিয়েছে ডায়মন্ডহারবার মডেল। এনিয়ে বিশিষ্ট চিকিত্সক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, এই যে ডোর টু ডোর সার্ভে ও ডাক্তাদের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার মতো প্রয়াস, স্বাস্থ্য পরিষেবা যে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে তাতে যে শুধু সংক্রমণের হার কমছে তা নয়, এতে মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বাড়ছে। মানুষ যখন দেখবে সরকার কোনও ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসেছে তখন সাধারণ মানুষও তাতে অংশ নিতে এগিয়ে আসবে। এটাই ওখানে হয়েছে। মানুষ ও সররকার দুপক্ষই এগিয়ে এসেছে এই অতিমারী ঠকাতে। সংক্রমণ একেবারে নীচে নেমে গিয়েছে। ফলে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকারী মডেল।