করোনা আতঙ্কের জেরে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হলো রাজ্যের ৩ হাজার বন্দিকে
করোনা আতঙ্ক তার সঙ্গে দোসর লকডাউন। আর তার জেরেই নাজেহাল আমজনতা। স্বস্তিতে নেই জেলবন্দিরাও। সংক্রমণের আতঙ্কে উদ্বেগে তাঁরা
![করোনা আতঙ্কের জেরে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হলো রাজ্যের ৩ হাজার বন্দিকে করোনা আতঙ্কের জেরে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হলো রাজ্যের ৩ হাজার বন্দিকে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/03/30/241874-jail.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: আদালতের নির্দেশে সোমবার প্যারোলে ছাড়া হল ৩ হাজার বন্দিকে। রাজ্যের মোট ৬০টি জেল থেকে ৩ মাসের জন্য ওই বন্দিদের প্য়ারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।
করোনা আতঙ্ক তার সঙ্গে দোসর লকডাউন। আর তার জেরেই নাজেহাল আমজনতা। স্বস্তিতে নেই জেলবন্দিরাও। সংক্রমণের আতঙ্কে উদ্বেগে তাঁরা। কয়েকদিন আগেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গিয়েছে দমদম সংশোধনাগারে। করোনা আতঙ্কে আদালতের কাজ থমকে। প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বন্দিদের মধ্য়ে তৈরি হয় অসন্তোষ। আর তার জেরেই পুলিস এবং বন্দিদের মধ্য়ে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় দমদম সংশোধনাগারে।
আরও পড়ুন- লকডাউনে যেন কেউ অভুক্ত না থাকেন, নিরাপত্তারক্ষীদের খাবারের দায়িত্ব নিলেন সলমন
এ দিন প্য়ারোলে মুক্তি পেল ২,০৫৯ জন বিচারাধীন বন্দি এবং ১০১৭ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ৩ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয় তাঁদের। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ছাড়া মিলেছে সবথেকে বেশি। কমপক্ষে ৩০০ জনকে ছাড়া হয়।
দমদম সংশোধনাগার থেকে ১৫০ এবং বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে ১০০ জন বন্দিকে ছাড়া হয়েছে। রাজ্যের জেলগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা করেই দ্রুত প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হল মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এখানেই জেল কর্তৃপক্ষ ক্ষান্ত থাকেননি। লকডাউনের জেরে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ থাকায় তাদের গাড়ি করে প্রথমে সংশ্লিষ্ট থানায়, সেখান থেকে সোজা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।