Sachin Tendulkar: 'কয়েক দিন ঘুমোতে পারেনি ও!' জাদেজা জানালেন কোন ঘটনায় বদলে যান সচিন
ফাইনাল গ্রুপ ম্যাচে ওলোঙ্গা আগুনে বল করেছিলেন। সচিন থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড় ও অধিনায়ক অজয় জাদেজার ব্যাটিং লাইন-আপ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। ওলোঙ্গার শর্ট-পিচ ডেলিভারি সচিনের ব্যাটে খোঁচা লেগে গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের হাতে ক্যাচ চলে যায়।
![Sachin Tendulkar: 'কয়েক দিন ঘুমোতে পারেনি ও!' জাদেজা জানালেন কোন ঘটনায় বদলে যান সচিন Sachin Tendulkar: 'কয়েক দিন ঘুমোতে পারেনি ও!' জাদেজা জানালেন কোন ঘটনায় বদলে যান সচিন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/21/386442-ho.png)
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই মুহূর্তে ভারত-জিম্বাবোয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। এখন কিন্তু দুই দেশ ফি-বছর বাইশ গজে মুখোমুখি হয় না। কিন্তু নয়ের দশকে ভারত-জিম্বাবোয়ে প্রায়ই মুখোমুখি হত। ক্রিকেট ইতিহাস বলছে, এই দুই ক্রিকেটীয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল ৯৮ সালের কোকা কোলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Coca Cola Champions Trophy)। সেবার ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল। ভারত-জিম্বাবোয়ে ছাড়াও ছিল শ্রীলঙ্কা। আর সেই সময় জিম্বাবোয়ের টিমও ছিল আলাদা। অধিনায়ক ছিলেন অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল (Alistair Campbell), অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (Andy Flower), গ্রান্ট ফ্লাওয়ার (Grant Flower), হিথ স্ট্রিক (Heath Streak) ও পমি মাঙ্গোয়ার (Pommie Mbangwa) মতো তারকারা। যদিও ওই সিরিজে আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন তরুণ প্রতিভাবান জোরে বোলার হেনরি ওলোঙ্গা (Henry Olonga)। ভারতের ব্য়াটিং মহারথী সচিন তেন্ডুলকরের ( Sachin Tendulkar) সঙ্গে ওলোঙ্গার দ্বৈরথ আজও চর্চিত।
ফাইনাল গ্রুপ ম্যাচে ওলোঙ্গা আগুনে বল করেছিলেন। সচিন থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড় ও অধিনায়ক অজয় জাদেজার ব্যাটিং লাইন-আপ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। ওলোঙ্গার শর্ট-পিচ ডেলিভারি সচিনের ব্যাটে খোঁচা লেগে গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের হাতে ক্যাচ চলে যায়। ৪৬ রানে ৪ উইকেট নেওয়া ওলোঙ্গার আস্ফালন ছিল দেখার মতো। ভারত ম্যাচ হেরেছিল ১৩ রানে। জাদেজা ভারত-জিম্বাবোয়ে চলতি সিরিজের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন যে, ওলোঙ্গার ওই বলই সচিনকে বদলে দিয়েছিল। জাদেজা বলেন, 'ওলোঙ্গার ওই বল সচিনকে বদলে দিয়েছিল। আমরা ধন্য যে, সচিনের সঙ্গে খেলেছি। ওর সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। এমন নয় যে, সচিন অহঙ্কারী! তবে ওর নিজের খেলার গর্ব ছিল। ওই ভাবে আউট হয়ে পরের কয়েক দিন ঠিক করে ঘুমোতে পারেনি। ও সারা রাত খুব হতাশায় কাটিয়েছিল। এরকম ভাবে কখনও দেখিনি সচিনকে। এটা ওর অহঙ্কারের প্রশ্ন নয়, ম্যাচটা আমরা হেরেছিলাম। সচিন দু'দিন অপেক্ষা করে ফাইনালে সব বদলে দিয়েছিল।'
এই ম্যাচের ঠিক দু'দিন পরেই সচিন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি কোন গ্রহের ব্যাটার। ফাইনালে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওলোঙ্গাকে ক্লাব পর্যায়ের বোলারে পরিণত করেছিলেন সচিন। ৯২ বলে অপরাজিত ১২৪ রান করেছিলেন সচিন। ফাইনালে জিম্বাবোয়ের ১৯৬ রান তাড়া করে ভারত ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল। সচিনের সঙ্গে ওপেনর করতে নেমেছিলেন সৌরভ। ৯০ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওলোঙ্গা ৬ ওভার বল করে ৫০ রান হজম করেছিলেন। সেই ম্যাচেই নয়, সিরিজেও সেরা হয়েছিলেন সচিন। তাঁর ব্র্যান্ড অফ ক্রিকেট শুধু জিম্বাবোয়ে নয়, গোটা পৃথিবী দেখেছিল আরও একবার।