বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

কমিশনের এমন মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ জানায়, কমিশন নিজেদেরকে দাঁতহীন বলে উল্লেখ করছে। ধর্ম, জাত নিয়ে যাঁরা বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করলেও কার্যকর করা হচ্ছে না বলে জানায় আদালত

Updated By: Apr 15, 2019, 05:12 PM IST
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী বিধি বিরোধী মন্তব্য করে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ এবং বসপা সুপ্রিমো মায়াবতীর ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। যার জেরে দ্বিতীয় দফায় তাঁদের নির্বাচন প্রচার কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। জানা গিয়েছে, সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জন্য যোগী আদিত্যনাথকে ৭২ ঘণ্টা এবং উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য মায়াবাতীকে ৪৮ ঘণ্টা ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আগামী ১৮ এপ্রিল হচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। গতকালই শেষ নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা। উত্তর প্রদেশের  ৮টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। ঠিক এই মুহূর্তে দুই দলের অন্যতম মুখ যোগী এবং মায়াবতী প্রচারে না থাকায় বিজেপি-বসপা কার্যত ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সুপ্রিম কোর্টের কাছে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, নির্বাচনের ‘মডেল কোড’ লঙ্ঘন করলেও কড়া পদক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই কমিশনের। ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নেই।

আরও পড়ুন- জয়প্রদাকে নিয়ে আজ়মের বিতর্কিত মন্তব্যে সুর চড়ালেন যোগী-স্মৃতি-ও

কমিশনের এমন মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ জানায়, কমিশন নিজেদেরকে দাঁতহীন বলে উল্লেখ করছে। ধর্ম, জাত নিয়ে যাঁরা বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করলেও কার্যকর করা হচ্ছে না বলে জানায় আদালত। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনের একজন প্রতিনিধিকে নিয়োগ করে সবিস্তারে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই নির্দেশের পরই সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে যোগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীর কড়া পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। যা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

.