রফতানির হাউই না ছুটলে বৃদ্ধি থমকাবে ভারতের
'লোকাল ডিমান্ডে'র চেয়ে 'গ্লোবাল ডিমান্ড'-ই ভারতের মতো দেশের অর্থনীতির সুস্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি কার্যকরী।

নিজস্ব প্রতিবেদন: এ দেশে জিডিপি আর ইনভেস্টমেন্ট গ্রোথের স্কোরবোর্ডে নিয়মিত রান যোগ করে যায় একটিই জিনিস-- বৈদেশিক রফতানি।
আত্মনির্ভর ভারত শুনতে মন্দ নয়। কিন্তু আপনি-আমি দেশের ধান-চাল, আলু-তেল, ধুতি-গামছা বেশি-বেশি কিনলেই যে রাতারাতি দেশের অর্থনীতির পালে বাতাস লাগবে এমনটা নয়। প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমনিয়ন স্বয়ং জানাচ্ছন, ঠিকঠাক রফতানি না হলে কখনওই উজ্জ্বল হবে না দেশের অর্থনীতির মুখ। যদিও সাধারণ মানুষের ধারণা 'কনজাম্পশন' বাড়লেই দেশের আয় বাড়ে।
বিষয়টি বোঝাতে অর্থনীতিবিদেরা একটা ছোট্ট তথ্য তুলে ধরছেন। বলছেন, ২০০৩-০৮ এই পাঁচ বছরে 'পাবলিক' এবং 'প্রাইভেট' এই দুই ক্ষেত্র মিলিয়ে ভারতে 'ডোমেস্টিক কনজাম্পশন' যেখানে গড়ে ৭.২ শতাংশ, সেখানে শুধু 'এক্সপোর্ট গ্রোথ'ই ১৭.৮ শতাংশ! এবং তথ্য বলছে, সেই সময়-পর্বটাই এ দেশের অর্থনীতিতে রীতিমতো সুসময় বলে ইতিমধ্যেই স্বীকৃত।
অর্থাৎ, 'লোকাল ডিমান্ডে'র চেয়ে 'গ্লোবাল ডিমান্ড'-ই ভারতের মতো দেশের অর্থনীতির সুস্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি কার্যকরী। করোনা-পর্বে সেটা ভুলে গেলে চলবে না!
আরও পড়ুন: "জার্সি ছেড়ে এগিয়ে আসো, বেটা কেউ গুলি চালাবে না, জল দাও ওকে", আত্মসমর্পণ জঙ্গির